শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকারের সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার শুনানি কবে, আগামিকাল জানাবে সুপ্রিম কোর্ট

গত পাঁচদিনে ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মোট ১২  জন মহিলাকে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় আটকে দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।

গত পাঁচদিনে ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মোট ১২  জন মহিলাকে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় আটকে দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

১৭ অক্টোবর শবরীমালা মন্দির খুলেছিল, আজ রাত ১০ টায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মন্দিরের দরজা

শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকারের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায় পুনর্বিবেচনা কবে হবে, সে নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামিকাল।

Advertisment

গত মাসেই শবরীমালায় সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকারের কথা জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সে রায়  দ্রুত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চে আবেদন জানান আইনজীবী ম্যাথিউস জে নেদুমপারা। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি এস কে কাউলের বেঞ্চ সে আবেদন গ্রহণ করেছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘‘আমরা জানি মোট ১৯টি রিভিউ  পিটিশন বকেয়া রয়েছে। কালকের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।  নেদুমপারা তাঁর বক্তব্যে ন্যাশনাল আয়াপ্পা ডিভোটিস অ্যাসোসিয়েশনের করা আবেদনের কথা উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন, পরিচয়পত্রে বয়স যাচাই করে তবেই শবরীমালার গর্ভগৃহে প্রবেশানুমতি দেওয়া হল ৫২ বছরের মহিলাকে

সুপ্রিম কোর্টের আদেশ সত্ত্বেও গত সপ্তাহের শুরুতে মন্দির খোলার পর মহিলারা কেউ শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি। গত পাঁচদিনে ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মোট ১২  জন মহিলাকে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় আটকে দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। সুপ্রিমকোর্টের যুগান্তকারী রায়ের পর শবরীমালা মন্দির প্রথমবারের জন্য খুলেছিল গত ৫ অক্টোবর এবং মন্দির আজ রাত ১০ টায় সান্ধ্য প্রার্থনার পর ফের বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশাল নিরাপত্তাবলয় থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকদের নিগ্রহ করা হয়েছে, এবং কোনও মহিলা মন্দিরের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করলেই তাঁকে আটকাতে বিশাল বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে।

Advertisment

মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সরকারকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, যদি ঐতিহ্য ভাঙার চেষ্টা করা হয়, তাহলে মন্দিরে তালা মেরে দেওয়া হবে এবং সমস্ত আচারঅনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। ট্রাভাঙ্কোর দেভোস্বম বোর্ডের তরফ থেকে ‘সাংঘাতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তারা সুপ্রিম কোর্টে পেশ করবে।

আরও পড়ুন, কেরালার সন্ন্যাসিনী ধর্ষণকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষীর রহস্যমৃত্যু

শবরীমালার বেস ক্যাম্প পাম্বা ও নীলাক্কলের হিংসাত্মক বিক্ষোভের পর কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ‘শবরীমালার সম্মান মুছে দেওয়ার’ জন্য আরএসএস-কে দায়ী করেছেন। সপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বিজয়ন বলেছিলেন, তিনি আদালতের নির্দেশ মেনে চলবেন।

বিজেপি এবং কেরালা কংগ্রেস, যারা শুরু থেকেই শীর্ষ আদলতের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে এসেছে, তারা এই বিক্ষোভে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Read Full Story in English

Sabarimala