কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা দেশজুড়ে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির আবহেই কৃষি আইন বাতিলের ডাক দিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট। রাজস্থানের দৌসা জেলায় কিষাণ মহাপঞ্চায়েত থেকে তিনি সমস্ত কৃষক সংগঠনগুলির সামনে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দেন, অবিলম্বে তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই মহাপঞ্চায়েতে কংগ্রেস নেতারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদ্য প্রাক্তন এনডিএ শরিক রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির নেতারা। দলের সুপ্রিমো হনুমান বেনিওয়াল এবং ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের নিয়ে ট্রাক্টর মিছিলে অংশ নেন পাইলট।
নাগৌরের সাংসদ বেনিওয়াল মহাপঞ্চায়েতে বলেন, দল সবসময় কৃষকদের পাশেই থাকবে। আইন বাতিলের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেবে আরএলপি। ট্রাক্টর মিছিলের পর আরএলপির তরফে জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তবে দৌসা মহাপঞ্চায়েতের সব প্রচারের আলো ছিল পাইলটের দিকে। নিজের ঘনিষ্ঠ ১৮ জন বিধায়ককে নিয়ে পাইলট এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে তুমুল আক্রমণ করেন। কৃষি আইন নিয়ে সরকারকে দ্রুত অবস্থান নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন জলকামান, ব্যারিকেড, থরে থরে আধা সেনা-পুলিশ, ‘চাক্কা জ্যাম’ বাতিল হলেও দিল্লি যেন দুর্গ
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে অশান্তির পর দল থেকে ইস্তফা দিয়েও ফিরে আসেন পাইলট। কিন্তু পুরনো পদ আর ফিরে পাননি। কিন্তু কংগ্রেসে থেকেই রাজনীতি করার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে গেহলটের সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল এখনও রয়ে গিয়েছে। কেন্দ্র বিরোধী কর্মসূচিও নিজের ঘনিষ্টদের সঙ্গেই করছেন। কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা সেধে পাইলট বলেন, কোনও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা না বলে এই আইন আনা হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়নি। তাড়াহুড়ো করে আইন পাশ করানো হয়েছে। দ্রুত এই আইনগুলি বাতিল করতে হবে।