সমঝোতা বিস্ফোরণ মামলায় পাক মহিলার আবেদন খারিজ আদালতে

এনআইএ জানায় এর আগে তিন বার পাক হাইকমিশনের মাধ্যমে ১৩ জন পাকিস্তানী সাক্ষীকে তলব করা হয়েছে, কিন্তু কেউই আদালতে হাজিরা দেননি। একই সঙ্গে এনআইএ জানায় রাহিলা ওয়াকিলের আবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতাও নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

এনআইএ জানায় এর আগে তিন বার পাক হাইকমিশনের মাধ্যমে ১৩ জন পাকিস্তানী সাক্ষীকে তলব করা হয়েছে, কিন্তু কেউই আদালতে হাজিরা দেননি। একই সঙ্গে এনআইএ জানায় রাহিলা ওয়াকিলের আবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতাও নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Samjhauta Blast Case

সমঝোতা বিস্ফোরণ মামলার মূল অভিযুক্ত অসীমানন্দ (ছবি- জয়পাল সিং)

বুধবার সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ মামলায় সব অভিযুক্তকে খালাস দেওয়ার আগে বিশেষ এনআইএ আদালত এক পাক নাগরিকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। ওই আবেদনে এই মামলায় পাকিস্তানি সাক্ষীদের তলব করার কথা বলা হয়েছিল। এক স্থানীয় আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে এই আবেদন করা হয়। আদালতের বক্তব্য, "এটা জনপ্রিয়তা কুড়োনোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়... এবং ব্যাপারটার মধ্যে প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও রয়েছে।"

Advertisment

গত ১১ মার্চ আদালত যখন রায় প্রদান করবে বলে মনে করা হচ্ছিল, সেসময়ে আইনজীবী মোমিন মল্লিক একটি আবেদন দাখিল করেন। তিনি আবেদন করেন বিস্ফোরণে নিহত মুহম্মদ ভকিলের কন্যা, পাক পঞ্জাবের অন্তর্গত হাফিজাবাদের বাসিন্দা রাহিলা ভকিলের হয়ে। এ ব্য়াপারে এনআইএ এব অভিযুক্তদের মতামত জানতে চায় আদালত। এনআইএ জানায় এর আগে তিন বার পাক হাইকমিশনের মাধ্যমে ১৩ জন পাকিস্তানী সাক্ষীকে তলব করা হয়েছে, কিন্তু কেউই আদালতে হাজিরা দেননি। একই সঙ্গে এনআইএ জানায় রাহিলা ওয়াকিলের আবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতাও নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে, কারণ যেসব সাক্ষীর নাম আগে উল্লিখিত হয়েছে, সে তালিকায় রাহিলার নাম নেই, এমনকি হরিয়ানা পুলিশ সহ তদন্তকারী সংস্থাগুলি তাঁর সাক্ষ্যও গ্রহণ করেনি।

আরও পড়ুন, সমঝোতা বিস্ফোরণ মামলা: এনআইএ-র দিকে আঙুল প্রাক্তন তদন্তকারী আইপিএসের

আদালত তার রায়ে বলেছে "আবেদনে তথাকথিত আবেদনকারী রাহিলা ভকিলের স্বাক্ষর নেই, এবং এনআইএ যে ১৩ জন পাকিস্তানি সাক্ষীর কথা উল্লেখ করেছে, তাতেও নাম নেই তাঁর।" আদালত বলেছে "ঘটনার সময়ে রাহিলা পাকিস্তানে ছিলেন। সাক্ষীদের মধ্যে, আব্দুল জাভেদ, হুকমদিন, মহম্মদ আসিফ, ইমরান খান ট্রেনে উপস্থিত ছিলেন না এবং এঁদের কেবল মাত্র মৃতদেহ চিহ্নিতকরণ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে যুক্ত নন।"

Advertisment

"আব্দুল কৈয়াম, কামরুদ্দিন, অশোক কুমার, রমেশ কুমার, মহম্মদ নাদিম, এবং মহম্মদ শাকিল- এই সাক্ষীরা ট্রেনে ছিলেন এবং জানিয়েছেন যে, তাঁরা কী ভাবে এ ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে কিছু জানেন না।"

আদালত বলেছে, "সুতরাং, শুনানির সাপেক্ষে, এই বিবৃতির বিচারবিভাগীয় নোটিস গৃহীত হল... বাদী পক্ষের মামলায় এ বিষয়টি অতিরিক্ত কোনও সাহায্য করবে না। আদালতের মতে, রাহিলা ভকিলের তরফ থেকে আবেদন মহৎ কাজে সাহায্যের নামে জনপ্রিয়তা কুড়োনোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং নথি থেকে স্পষ্ট দেখা যাবে যে এ আবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই এবং এটা গোটা প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার চেষ্টা মাত্র, যার কারণ একমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই জানেন।"

Read the Full Story in English