দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছিল। (ফাইল ছবি/পিটিআই)
দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁকে গ্রেফতার করার একদিন পর, রাইস এভিনিউ আদালত বৃহস্পতিবার আম আদমি পার্টি (আপ)-এর রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিনের জন্য ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ব্যবসায়ী দীনেশ অরোরার বিবৃতি থেকে সঞ্জয় সিংয়ের নাম জানতে পেরেছে ইডি। এর আগের দিন, আম আদমি পার্টির নেতা ও কর্মীরা সঞ্জয় সিংয়ের গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন।
Advertisment
নয়াদিল্লিতে দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁকে গ্রেফতার করার একদিন পর বৃহস্পতিবারআপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে রাউস এভিনিউ আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। (পিটিআই ছবি)
তবে রাইস এভিনিউ আদালতে ইডি স্বস্তি পেলেও সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবারই ধৃত অন্য আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়াকে নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছে ইডিকে। এদিন মণীশের জামিনের আবেদনের শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে আদালত যে মণীশের বিরুদ্ধে দায়ের করা ইডি এবং সিবিআইয়ের অভিযোগে সন্তুষ্ট নয়, তা এককথায় বুঝিয়ে দিয়েছে। আদালত জানতে চেয়েছে, মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা তহবিল তছরুপ মামলায় ইডি এবং সিবিআইয়ের কাছে আরও কোনও প্রমাণ আছে কি না। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ তদন্তকারী সংস্থাগুলোর কাছে জানতে চায়, 'আপনারা কীভাবে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে বাস্তবিক আর আইনগতভাবে অর্থপাচারের অভিযোগ প্রতিষ্ঠা করবেন? এখনও তো কিছুই প্রমাণিত হয়নি।'
Advertisment
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আপ নেতা মণীস সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বেঞ্চ বলে, 'আমরা বুঝতে পারছি যে একটি নীতির পরিবর্তন হয়েছে। প্রত্যেকে এমন এক পরিবর্তন চায় যা তাদের জন্য উপকারি হবে। ঘুষ নেওয়া যাবে না। নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কোনও চাপ বা গোষ্ঠীর স্বার্থ থাকবে না, ঘুষ নেওয়া যাবে না। কিন্তু, যদি আমরা বলি যে স্বার্থ ছাড়া অর্থ নেওয়াটা অপরাধ হবে না!'
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) এসভি রাজু বৃহস্পতিবার সিবিআই আর ইডির হয়ে আদালতে সওয়াল করেন। তিনি আদালতকে জানান, সিসোদিয়া প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত ছিল কি না তা নয়, তবে একটি (আবগারি) নীতি তৈরি করা হয়েছিল এই ঘুষ নেওয়ার লক্ষ্যে। যা, অপরাধমূলক আয় হিসেবে কাজ করেছে। শীর্ষ আদালত এএসজির এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে জিজ্ঞাসা করেছে যে কেন এই অপরাধের অর্থ গ্রহণের জন্য রাজনৈতিক (আম আদমি পার্টি) দলকে অভিযুক্ত করা হয়নি?