আগামী শুক্রবারই হাইকোর্টে দিল্লি হিংসা মামলা শুনানির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি হিংসা মামলার শুনানি এক মাস পিছিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। যা 'অন্যায্য' বলেই এদিনের শুনানিতে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি বোবদের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
কেন্দ্র দিল্লি হিংসা সম্পর্কিত মামলার বিষয়ে আরও কিছুদিন সময় চেয়েছিল। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে করা আবেদন সহ দিল্লিতে হিংসা সম্পর্কিত সমস্ত মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই দিল্লির আদালতে শুনানি হওয়া উচিত। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বুধবার বলেন, 'আমরা বিচারের স্বার্থে এই মামলাগুলি শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির অধীনে মামলার তালিকাভুক্ত করার কথা বলছি। অনুরোধ, হাইকোর্ট এই মামলাগুলির যতটা সম্ভব দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করুক'। তাঁর সংযোজন, 'এত দীর্ঘ মেয়াদে একটি মামলার শুনানি স্থগিত করা যথাযথ সিদ্ধান্ত নয়। আমরা হাইকোর্টের এক্তিয়ারে ঢুকতে চাই না, তাই দিল্লি হাইকোর্টকেই জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করার অনুরোধ করছি।'
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা এদিন আদালতে জানান পরিস্থিতি এখনও সহায়ক নয়। 'আমরা ৭০০০ ভিডিও পেয়েছি। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে নয়।'
আরও পড়ুন: হোলির পরই দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনায় বসবে মোদী সরকার
দু'দিন আগেই প্রধানবিচারপতি বোবদে বলেছিলেন , 'হিংসায় দেশবাসীর মৃত্যুকে সমর্থন করে না হাই কোর্ট। আবার, এই ধরণের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে কেউ জনমানসে হিংসার জন্ম দিক সেটাও চায় না দেশের শীর্ষ আদালত। দেশের মানুষের আশা সুপ্রিম কোর্ট এই দাঙ্গাকে বন্ধ করতে পারে। কিন্তু না, সুপ্রিম কোর্ট কেবল মাত্র এই ধরনের ঘটনার পর তা আটকাতে পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা এই মামলার পুরোটা শুনে বুঝে তারপরই রায়দান করব। আদালত দেশে শান্তি বজায় রাখতে চায়, কিন্তু কোথায় আমাদেরও কাজের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।'
গত সপ্তাহে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষ বাঁধে, পরে সেই যা ভয়ঙ্কর হিংসায় পরিণত হয়। দিল্লির ওই অশান্তির জেরে এখনও পর্যন্ত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহতের সংখ্যা দুশোরও বেশি। তারপরেই এই ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৃতদের পরিবার। কিন্তু সেখানে মামলার শুনানির দিন অনেক দেরিতে দেওয়ায় দ্রুত শুনানির আর্জিতে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই দিল্লি হাইকোর্টকে ওই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন