হাথরাস কাণ্ড বিস্ময়কর এবং ভয়াবহ! মঙ্গলবার হাথরাসের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিচারবিভাগীয় মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। ১৯ বছরের দলতি তরুণীর গণধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এমন মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে এবং বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মণনের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের উপর মত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বুধবারের মধ্যে মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের জবাব তলব করেছে।
শুনানির আগে উত্তরপ্রদেশ সরকার আদালতে হলফনামা জমা করে জানায়, প্রশাসন অত্যন্ত বিরল পরিস্থিতির কারণে নির্যাতিতা তরুণীর মরদেহ গত ১ অক্টোবর গভীর রাতে সৎকার করতে বাধ্য হয়। রাতে সৎকার না হলে পরদিন সকালে আইনশৃঙ্খলা নষ্ট হতে পারত বলে সাফাই দিয়েছে যোগী সরকার। তারা আরও জানিয়েছে, বিভিন্ন দিক থেকে রাজনৈতিক স্বার্থে অপপ্রচার ও কুৎসা করা হচ্ছিল এই মামলায়। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে যোগী প্রশাসন। যে কারণে সরকার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, যাতে কোনওভাবেই ভুয়ো বা বিভ্রান্তিকর প্রচার না করতে পারে কেউ।
আরও পড়ুন যোগী সরকারকে বদনামে আন্তর্জাতিকস্তরের ষড়যন্ত্র, দাবি হাথরাস পুলিশের
এদিকে, হাথরাসের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পাল্টা ২১টি মামলা রুজু করেছে রাজ্যজুড়ে। যার মধ্যে ৬টি মামলা রুজু হয়েছে হাথরাস জেলায়। রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট এবং জাতপাত-সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির অভিযোগে এই এফআইআর গুলি দায়ের করেছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন জনসভার মাধ্যমে উসকানি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পুলিশের। অন্যদিকে, দিল্লির এক সাংবাদিক-সহ চারজনকে এই ঘটনায় আটক করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। হাথরাসে ঢোকার মুখে মথুরা টোল প্লাজার কাছে তাদের আটক করা হয়েছে। অভিযোগ, তারা পিএফআই এবং সিএফআই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন