Advertisment

'অপরাধীর মন বদলেছে', কবিতা শুনে মৃত্যুদণ্ড লাঘব আদালতে

আদালত জানিয়েছে অপরাধ ঘটানোর সময় বরকারের বয়স ছিল ২২। ইতিমধ্যে ১৮ বছর জেলে কাটিয়েছে সে। কারাবাসে তার আচরণ বুঝিয়ে দিয়েছে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চায় সে। গরাদের ওপার থেকেই স্নাতক হয়েছে বরকার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
supreme court

সমাজের চোখে দাগী আসামী সে। মুক্তিপণের লোভে এক শিশুকে খুনই করেছিল। শাস্তি হয়েছিল মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু সে শাস্তি কমিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। কারাবাসে অপরাধীর লেখা কবিতা দেখে আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সমাজের কাছে ওই ব্যক্তি আর বিপজ্জনক নয়, অতএব মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল অপরাধীকে।

Advertisment

শীর্ষ আদালতে বিচারপতি একে সিক্রি, বিচারপতি এস আব্দুল নাজির, বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ রায় দিয়েছে দ্যানেশ্বর সুরেশ বরকারের মৃত্যুদণ্ড লাঘব করা হল। আদালত আরও জানিয়েছে অপরাধ ঘটানোর সময় বরকারের বয়স ছিল ২২। ইতিমধ্যে ১৮ বছর জেলে কাটিয়েছে সে। কারাবাসে তার আচরণ বুঝিয়ে দিয়েছে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চায় সে। গরাদের ওপার থেকেই স্নাতক হয়েছে বরকার।

আর পড়ুন, জয়পুর জেলে মৃত্যু পাক বন্দির, পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

"তার লেখা কবিতা থেকে মনে হয়েছে, তরুণ বয়সে করা নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে সে। তার অপরাধ নিঃসন্দেহে নৃশংস হলেও নিজেকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা থাকায় অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড লাঘব করা হল। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার অভিযুক্ত পেশাগত খুনি ছিল না, এর আগে তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না", শুনানির সময় জানিয়েছে আদালত।

প্রসঙ্গত, বরকারকে ২০০৬ সালে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। তারপরই শীর্ষ আদালতে আবেদন জানায় বরকারের আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টকে তিনি জানান তাঁর মক্কেল নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন।

Read the full story in English

supreme court Jail
Advertisment