বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যর বেঞ্চের পক্ষ থেকে মামলাগুলির পাল্টা-হলফনামা দাখিল করার জন্য কেন্দ্রকে চার সপ্তাহের সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হওয়া নতুন আবেদনের উপর মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগামী ১৪ নভেম্বর ৩৭০ ধারা রদ এবং জম্মু কাশ্মীরের 'বিশেষ রাজ্যে'র মর্যাদা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দায়ের হওয়া আবেদনগুলির শুনানি করা হবে। বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যর বেঞ্চে মামলাগুলির সাপেক্ষে হলফনামা দাখিল করার জন্য কেন্দ্রকে চার সপ্তাহের সময় নির্ধারিত করে দিয়েছে। অন্যদিকে, আবেদনকারীরাও যদি নয়া বক্তব্য যোগ করতে চান, সে জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত বহু মামলার আবেদন গ্রহণ করা হলেও, এখন আর কোনও আবেদন জমা নেওয়া হবে না। এন ভি রামানা-র নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যর বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, "আমরা কেন্দ্র এবং জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনকে মামলার পাল্টা-হলফনামা দাখিল করার অনুমতি দিচ্ছি। অন্যথায় আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই গ্রহণ করতে পারব না।" উল্লেখ্য, বিচারপতি রামানার নেতৃত্বে থাকা বেঞ্চটিতে আছেন বিচারপতি এস কে কৌল, আর সুভাষ রেড্ডী, বি আর গাভাই এবং সূর্যকান্ত।
প্রসঙ্গত, সোমবারই ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের হাতে জম্মু কাশ্মীর সংক্রান্ত সমস্ত মামলার দায়িত্ব হস্তান্তর করে দেয়। মঙ্গলবার থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে যাবতীয় মামলার শুনানির ভার দেওয়া হয়েছে এই বেঞ্চকে। এই মামলার মধ্যে রয়েছে, কাশ্মীর টাইমস পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা বাসিনের আবেদন, সিপিআইএম নেতা ইউসুফ তারিগামিকে বন্দি করার বিরুদ্ধে সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির করা আবেদনও।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করার পর থেকেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে ভূস্বর্গে। আবেদনকারীদের মতে, রাষ্ট্রপতির আদেশে বলা ছিল, "নির্বাচিত সরকার গঠনের আগে পর্যন্ত এটি একটি সাময়িক অবস্থা।”