সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন সাংবাদিক তথা ফ্যাক্ট চেকার মহম্মদ জুবের। তাঁকে জেলবন্দি করে রাখার কোনও কারণই নেই। অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে একথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে, জুবেরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া যাবতীয় মামলা উত্তরপ্রদেশ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন থেকে এই মামলাগুলো দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল দেখভাল করবে বলেই নির্দেশে আদালত জানিয়েছে। দিল্লি পুলিশ এই মামলার ভালোই তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে আদালত।
গত ২৭ জুন মহম্মদ জুবেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে তিনি ২০১৪ সালের আগে ও পরের তুলনা টেনে টুইট করেছিলেন। তা নিয়ে একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে জুবেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল মহম্মদ জুবেরকে। যদিও পরে, অভিযোগকারীর টুইটার হ্যান্ডেলটি অস্তিত্ব নিয়েই বিতর্ক দেখা দেয়।
আরও পড়ুন- কেন ভারতীয়দের নাগরিকত্ব ছাড়ার হিড়িক, কোথায় যাচ্ছেন এই লোকজন?
এর মধ্যেই বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে জেলেই কাটাতে হয়েছে মহম্মদ জুবেরকে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মভাবনায় আঘাতের অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুবেরের জামিন বুধবার মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে সোমবার এক মামলায় জামিন পাওয়ার পর অন্য মামলায় জেলে ঢোকানোর প্রক্রিয়াকে 'জঘন্য চক্র' বলেও কড়া নিন্দা করেছিল শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, পরবর্তী শুনানি না-হওয়া পর্যন্ত জুবেরের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না-বলে, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
বুধবার দুপুরে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেছেন, 'আইন অনুযায়ী গ্রেফতার করার ক্ষমতাও বুঝেশুনেই প্রয়োগ করা উচিত। বর্তমানে তাঁকে জেলবন্দি করে রাখা এবং একের পর এক আদালতে ঘোরানোর কোনও কারণ নেই। আমাদের ধারণা, ওঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া উচিত।' উত্তরপ্রদেশ সরকার আদালতে আবেদন করেছিল, জুবের যেন ইতিমধ্যে টুইট করতে না-পারে। কিন্তু, সেখানেও সরকারকে ধাক্কা খেতে হয়েছে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, বিষয়টা অনেকটা আইনজীবীকে তর্ক না-করতে বলার মত বিষয়। সাংবাদিকের লেখা আটকানোর মত ব্যাপার। তাই জুবেরকে টুইট না-করার নির্দেশ আদালত দেবে না।
Read full story in English