লকডাউনের সময় কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে সর্বজনীয় খাদ্যসুরক্ষা বিধি কার্যকরের জন্য নির্দেশ দিক আদালত। সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। কিন্তু, সেই আবেদন গ্রহণে রাজি হয়নি সর্বোচ্চ আদালত।
এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আবেদন খতিয়ে দেখেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ, সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চ। তাঁরা জানিয়েছেন,আদালত প্রমাণ পেয়েছে যে আবেদনে উত্থাপিত অভিযোগগুলি সরকারের নজরে আনা হয়নি, তাই আবেদনটি গ্রহণ করা হচ্ছে না। সর্বেোচ্চ আদালত জানিয়েছে, আবেদনকারীর উচিত কেন্দ্রের কাছে বিষয়টি জানানো। রমেশের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট সালমান খুরশিদ বলেছিলেন, 'আবেদনে উত্থাপিত বিষয়টি খাদ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত এবং ২০১৩ সালের জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন গঠনের ক্ষেত্রে আবেদনকারী নিজেই সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন।'
আরও পড়ুন- লকডাউনে বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরাতে ৬৪ উড়ান পাঠাচ্ছে দিল্লি
লকডাউনে দুর্দশার অন্ত নেই পরিয়ায়ীদের। বাড়ি ফিরতে পারলেও নিজের বাড়িতে অনেকদিন না থাকায় রেশন কার্ডও গ্রহণ করা হচ্ছে না। অনেকের আবার কার্ডই নেই। ফলে লকডাউনে কার্যত না খেয়েই থাকতে হচ্ছে। পরিত্রাণের জন্য তাই সর্বজনীয় খাদ্যসুরক্ষা বিধি বলবৎ করার আবেদন করা হয়েছে বলে জানান রমেশের আইনজীবী সালমান খুরশিদ। জবাবে আদালত তাঁর কাছে জানতে চায় বিষয়টিকে কেন্দ্রের কাছে বলা হয়েছে?
আরও পড়ুন- তদন্তকারীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ অর্ণবের বিরুদ্ধে, সুপ্রিম কোর্টে মহারাষ্ট্র সরকার
খুরশিদ স্বীকার করে নেন যে, এটি রাজনীচির জন্য- বহু মানুষের সুবিধার জন্য আবেদন করা হয়েছে। জবাবে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়,সমস্যা হল লোকেরা সরকারকেনা জানিয়েই সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারার বলে আদালতে আবেদন করছেন। কিন্তু, এইসব আবেদনের আগে কিছু উদ্যোগ আবেদনকারীরও নেওয়া উচিত। আদালত জানিয়েছে, যেসব শ্রমিকরা ফিরতে পারেননি তাঁদের অসুবুধা হতে পারে, তবে যারা তাদের নিজের গ্রামে ফিরে গিয়েছেন তাদের বিষয়টি রাজ্য দেখবে।
রমেশের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে নির্দেশ দেন। মেহেতা জানান, যথাযোগ্য সম্মান ও আন্তরিকতার নির্দেশ বিবেচনা করা হবে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, দেশব্যাপী লকডাউনের ফলে তীব্র খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩ বাস্তবায়ণের প্রয়োজন। মহামারীতে রেশন কার্ডের প্রয়োজনীয়তা শিথিল করার বিষয়ে সরব হন। তবে আবেদন এদিন গ্রহণ করেনি সুপ্রিম কোর্ট।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন