কোনও পরিস্থিতিতেই আসামের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রকাশের দিন যেন ২১ জুলাই'১৯-এর সীমা (ডেডলাইন) লঙ্ঘন না করে, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের জেরে যাতে কোনওভাবেই নাগরিকপঞ্জির কাজ ব্যহত না হয়, সে বিষয়টিও বৈঠকে বসে সুনিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনের সচিব, আসামের মুখ্যসচিব এবং আসামের এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হ্যাজেলাকে। আসামের পক্ষ থেকে এজলাসে উপস্থিত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বৃহস্পতিবার এমন নির্দেশই দিয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি রহিংটন ফলি নরিম্যানের বেঞ্চ। আজ থেকে আগামী সাত দিনের মধ্যে এই বৈঠক সেরে ফেলার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
নাগরিকপঞ্জি সংক্রান্ত বৈঠক থেকে উঠে আসা সূত্র আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। ওই দিনই এই মামলা ফের উঠবে আদালতে। প্রতীক হ্যাজেলা শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নাগরিকপঞ্জিতে অন্তর্ভুক্তির আবেদন এবং আপত্তি পত্র জমা পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, ৩৬.২ লক্ষ মানুষ আবেদন করেছেন এবং ২ লক্ষ আপত্তি পত্র জমা পড়েছে। এই আবেদনের শুনানি শুরু হবে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রসঙ্গত, গত বছর ৩০ জুলাই প্রকাশিত নাগরিকপঞ্জির খসড়ায় ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছিল। এ নিয়ে ওই রাজ্যে এবং সারা দেশে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। বর্তমানে নাগরিকপঞ্জিতে নাম অন্তর্ভুক্তির সামগ্রিক বিষয়টিতে নজরদারি করছে সুপ্রিম কোর্ট।
Read the full story in English