জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহারের পরই একাধিক আবেদন জমা পড়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই মামলাগুলির বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ৫ সদস্যের একটি বেঞ্চ গঠন করা হল। এই বেঞ্চের নেতৃত্ব দেবেন বিচারক এন ভি রামানা। সুপ্রিম কোর্টে জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদ সংক্রান্ত যে সব মামলা জমা পড়েছে, সেগুলির শুনানি করতেই এই বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- ‘বাবা মৃত্যুর আগে শেষ কথাটা বলেছিলেন প্রকাশ কারাটের সঙ্গে’
সুপ্রিম কোর্টে সূত্রের খবর, আগামী মাসের গোড়া থেকেই জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার যে পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে তার সাংবিধানিক বৈধতা যাচাই করতেই গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের এই সাংবিধানিক বেঞ্চ। অন্যদিকে, ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে রাষ্ট্রপতির যে আদেশ, সেই দিকটিও নজরে রাখা হবে। এই নবগঠিত সাংগঠনিক বেঞ্চ তৈরি প্রসঙ্গে অগাস্ট মাসেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানিয়েছিলেন, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই একটি বৃহত্তর বেঞ্চে জম্মু কাশ্মীরের বিষয়গুলি নিয়ে শুনানি হবে।
আরও পড়ুন- বুদ্ধদেববাবুর চীন-তর্পণ
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পরই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বেশ কয়েকটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এবং তাঁর দল ন্যাশনাল কনফারেন্স। এমনকি ন্যাশনাল কনফারেন্সের তরফে শনিবার দুই সাংসদ আকবর লোন এবং হাসনাইন মাসুদিও শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেছেন। তবে জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রথম পিটিশন দায়ের করেন আইনজীবি এমএল শর্মা।
আরও পড়ুন- চিনের বিদেশমন্ত্রীর মুখে ফের কাশ্মীর ইস্যু, পরমাণু যুদ্ধের হুমকি ইমরানের
৩৭০ ধারা রদের মামলার জন্য গঠিত পাঁচ সদস্যর বেঞ্চ গঠন করা ছাড়াও আরও দুটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল মৃত্যুদণ্ড বিষয়ক শুনানির জন্য তিন বিচারপতির বেঞ্চ এবং দুটি ভিন্ন বেঞ্চও গঠন করা হয়েছে যারা কর সংক্রান্ত মামলার শুনানি করবে।