অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মহারাষ্ট্রে খুলে যাচ্ছে স্কুল। ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে মন্দির, মসজিদ-সহ সব উপাসনাস্থলগুলি। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর শুক্রবারই বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। সংক্রমণ পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবার দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বন্ধ থাকা স্কুল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী ৪ অক্টোবর থেকে মহারাষ্ট্রে খুলে যাচ্ছে স্কুল। দীর্ঘ ১৯ মাস বন্ধ থাকার পর আবার স্কুলে যাবে ছাত্রছাত্রীরা। তবে করোনা পরিস্থতির কথা মাথায় রেখে এখনই সব ক্লাসের পডুয়াদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি নেই। আপাতত রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের নিয়ে চালু হচ্ছে স্কুল। অন্যদিকে শহরাঞ্চলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের নিয়ে খুলছে স্কুল।
মহারাষ্ট্রে স্কুল চালুর ব্যাপারে সরকারি, বেসরকারি স্কুলগুলির তরফে রাজ্য সরকারের কাছে বারবার আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সরকার। তারপরেই করোনা বিধি-নিষেধ মেনে নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্লাসের পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এখনই আবাসিক স্কুলগুলি খুলছে না। বাচ্চাদের স্কুলগুলিও বন্ধ থাকছে।
করোনার করাল গ্রাসে একটা সময় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল গোটা মারাঠাভূম। বর্তমানে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উদ্বেগ কাটেনি। করোনার জেরে মহারাষ্ট্রের অর্থনীতি দারুণভাবে ধাক্কা খেয়েছে। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই নয়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে পর্যটনমন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের দফতর। 'মনসুন ট্যুরিজম'-এর পরিকল্পনা করেছে মহারাষ্ট্রের পর্যটন দফতর। এক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয়েছে কঙ্কন উপকূলে সমুদ্র সৈকতকে।
আরও পড়ুন- ‘সন্ত্রাসবাদীদের মদতই ইসলামাবাদের নীতি’, রাষ্ট্রসংঘের সভায় পাকিস্তানকে তুলোধনা ভারতের
এদিকে, মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও উদ্বেগ কাটেনি। শুক্রবারও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে নতুন করে ৪৪৬ করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে করোনার বলি আরও ৬। শুধুমাত্র মুম্বইয়েই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার ৩০৭। করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ে এখনও পর্যন্ত ১৬ হাজার ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন