পৃথিবী জুড়ে প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে যে ভাবে নগরায়ণের পেছনে ছুটছে মানুষ, তাতে কয়েক দশকের মধ্যেই হারিয়ে যাবে বন্য আস্তিত্ব।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে আন্টার্কটিকাকে বাদ দিলে শিল্পায়নের ফলে গোটা দুনিয়ার ৭৭ শতাংশরই বড্ড বেশি আধুনিকিকরণ হয়েছে। গত শতাব্দির শুরুতে যা ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউইয়র্কের ওয়াইল্ডলাইফ কনজার্ভেশন সোসাইটি-র যৌথ গবেষণা বলছে পৃথিবীতে যতটুকু বন্য অস্তিত্ব বাকি আছে, ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে।
গবেষক জেমস আর অ্যালান এই প্রসঙ্গে বলেছন, "আমরা এমন একটা সময়ের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে, যে কোনও মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়বে পুরো ব্যবস্থা"।
আরও পড়ুন, ওড়িশায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাত হাতির মৃত্যু
"হারাতে হারাতে সবটাই হারিয়ে ফেলছি আমরা। এরপর যেটুকু আছে, সেটাও চলে গেলে আর কিছুই থাকবে না"। সমীক্ষায় ধরা পড়েছে যে দেশ যত বেশি শক্তিশালী, সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে গেলে সে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচিয়ে রাখা ততই জরুরি। এই সব দেশের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে রাশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিল।
এসব দেশের জৈব বৈচিত্রের মাত্রা সংরক্ষিত হওয়া দরকার। বনাঞ্চল তো সারা পৃথিবীর ফুসফুস।
গবেষণা বলছে, শিল্পের যত উন্নতি হয়েছে, দূষিত হয়েছে শিল্পাঞ্চল। মানুষের জীবনে আধুনিকিকরণের ফলে সামদ্রিক জগতের ৮৭ শতাংশ বদলে গিয়েছে তার আদি অবস্থা থেকে।
অস্ট্রেলিয়ার জেমস কুক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক উইলিয়াম লরেন্স বলছেন, "মানুষ যথেচ্ছ ভাবে পৃথিবীর সমস্ত কোনাকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করে চলেছে"। সভ্যতাকে নিংড়ে নেওয়ার যে অভ্যেস মানুষের মধ্যে রয়েছে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, অবিলম্বে"। তিনি আরও বলেন, "চিন, ব্রাজিলের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মেলাবে বলে শিল্পায়নের স্বার্থে যে যে পদক্ষেপ করে, তা পরিবেশের ওপর খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে"।
Read the full story in English