লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন জি জনার্দন রেড্ডি। একটি প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছে বিজেপির ওই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মাইনিং ব্যারনের। আর্থিক তছরুপের মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য অ্যাম্বিডেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে জনার্দন রেড্ডির বিরুদ্ধে। এজন্য ওই সংস্থার থেকে জনার্দন প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেঙ্গালুরুতে রেড্ডির সম্পত্তির খোঁজে তল্লাশি চালায় সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন যে, জনার্দন রেড্ডি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ আলি খানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। ২০ কোটি টাকার চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন আলি খান, এমনই অভিযোগ উঠেছে।
অ্যাম্বিডেন্ট নামে একটি আর্থিক সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে রেড্ডির ভূমিকা নজরে আসে সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের। পঞ্জি (Ponzi) স্কিমের মাধ্যমে ১৫ হাজারের বেশি মানুষের কাছ থেকে ৬০০ কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে। বিনিয়োগে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই সংস্থা, বুধবার এমনটাই জানান বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার টি সুনীল কুমার।
আরও পড়ুন: ঔরঙ্গাবাদের নাম বদল কবে, মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে জিজ্ঞাসা শিবসেনার
তদন্তে নেমে ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানতে পারে, অ্যাম্বিডেন্টের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আহমেদ ফরিদকে সাহায্য করেছেন বিজেপির ওই প্রাক্তন মন্ত্রী। যে সে সাহায্য নয়, ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ইডির দায়ের করা আর্থিক তছরুপের মামলা তুলতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রেড্ডি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরিদকে সাহায্যের জন্য ২০ কোটি টাকা চান রেড্ডি। সেইমতো ২০ কোটি টাকার সোনা দেওয়া হয় তাঁকে। কর্ণাটকের বেল্লারিতে এক সোনা ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ওই সোনা লেনদেন করা হয়।
রমেশ নামে বেল্লারির ওই সোনা ব্যবসায়ীকে আগেই গ্রেফতার করে জেরা করে সিসিবি। রমেশের মাধ্যমেই টাকা লেনদেন করেছিল অ্যাম্বিডেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অম্বিকা সেলস কর্পোরেশন নামে একটি সংস্থার থেকে ১৮ কোটি টাকায় ৫৭ কেজি সোনা কেনার পর তা রমেশকে দেয় অ্যাম্বিডেন্ট।
Read the full story in English