ছাত্রনেতাদের মুক্তির দাবিতে শনিবার অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন মণিপুরের তরফে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে হুলথূল। ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে আহত কমপক্ষে ৩০ জন ছাত্র একই সঙ্গে এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ পুলিশকর্মীও। পার্বত্য অঞ্চল কমিটি-প্রস্তাবিত স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ (ADCs) সংশোধনী বিল, পেশের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে শুরু করে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের নেতারা।
মণিপুরের পার্বত্য জেলাগুলিতে সম্পূর্ণ বন্ধ করার অভিযোগে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। তাদের মুক্তির দাবিতেই এদিনের এই আন্দোলন বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানান হয়েছে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা পাথর ছোঁড়ায় জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। এরপর পুলিশ উত্তেজিত ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন: < নীতি আয়োগের বৈঠক: দিল্লিতে আজ ফের মুখোমুখি মোদী-মমতা >
অল কলেজ ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের নেতা নিংজান জাজো বলেন,"আমরা আমাদের নেতাদের মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অবস্থানে অংশ নিয়েছিলাম। পুলিশ বিনা প্ররোচনায় ছাত্রদের ওপর লাঠি চালায়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। গ্রেফতার হওয়া ATSUM নেতাদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।"
এদিকে, শনিবার ইম্ফল পশ্চিমের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতারকৃত ATSUM নেতাদের ১৫ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন। বিষ্ণুপুরের জেলা শাসক ২ মাসের জন্য বিষ্ণুপুর এবং চুরাচাঁদপুরে ১৪৪ ধারা জারি করেন। ৫ দিনের জন্য মণিপুর জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে আর ও জানান হয়েছে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রনেতাদের মুক্তির দাবিতে বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভরত ছাত্ররা। ভাঙচুর করা হয় একাধিক সরকারি সম্পত্তি।