দু'দিন আগেই বালাকোটের সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গি শিবির নিয়ে সরব হন ভারতীয় সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত। তাঁর অভিযোগ ছিল, 'বালাকোট থেকে প্রায় পাঁচশোর অনুপ্রবেশকারী ইতিমধ্যেই ভারতে প্রবেশ করতে উদ্যত হয়েছে।' যা ঘিরে আতঙ্কিত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। ফের জঙ্গি হামলার ভয় পাচ্ছেন তারা। তবে, আশঙ্কার কিছু নেই বলেই আশ্বস্ত করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বুধবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, 'দেশের নিরাপত্তা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যেকোনও আক্রমণের মোকাবিলা করতে তারা সক্ষম।'
পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হামলার সাত মাসের মধ্যেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠছে জঙ্গি কর্যকলাপ। বালাকোট থেকে প্রায় পাঁচশোর অনুপ্রবেশকারী ইতিমধ্যেই ভারতে প্রবেশ করতে উদ্যত হয়েছে। সোমবার এমনটাই জানান ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, বলেন, “পাকিস্তান ফের বালাকোটকে সক্রিয় করে তুলছে। বালাকোট হামলার পর সেখানকার জায়গা যে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিল এটা তারই প্রমাণ। সেই কারণেই ওখানকার মানুষজন সব পালিয়ে গিয়েছিল এবং বালাকোট এখন ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠছে।”
আরও পড়ুন: তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার চিন্ময়ানন্দকাণ্ডের অভিযোগকারিণী
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের এই দাবি নস্যাৎ করে পাকিস্তান। সেনা প্রধানের দাবি ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে জানায় ইসলামাবাদ। এক্ষেত্রেও পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের হাতিয়ার কাশ্মীর। তাদের অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীর ভয়ঙ্করভাবে প্রত্য়েক দিন মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে। সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই ভারতের তরফে এই অভিযোগ করা হয়েছে। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ডঃ মহম্মদ ফয়সাল বলেন, “এই নেতিবাচক প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার ভারতের যে প্রয়াস তা সফল হবে না। এই ধরণের মন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিকে ব্যহত করতে পারে।”
আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলা: ‘রাম চবুতরাকে রামের জন্মভূমি হিসেবে মানি না’, সাফ জানাল ওয়াকফ বোর্ড
উল্লেখ্য, পুলওয়ামাকাণ্ডের পর গত ফেব্রুয়ারিতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে অভিযান চালায় ভারত। যা ঘিরে ভারত-পাক তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ভারতের দাবি, সেই অভিযানে বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদের এই জঙ্গি ঘাঁটির পাঁচ থেকে ছ’টি ‘মিন পয়েন্ট অফ ইম্প্যাক্ট’ এর ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল।
কাশ্মীর নিয়ে চাপানউতোর চলছে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভাও তা নিয়ে সরগরম। একে অন্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগবেন মোদী ও ইমরান। সেই আবহেই রাজনাথ সিংয়ের এদিনের মন্তব্য অন্যমাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English