নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের তরফে অনুমোদন পাওয়া নিয়ে অতীতে লোকসভায় শাসক-বিরোধী তরজা বজায় থাকলেও, বুধবার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (ক্যাব) নিয়ে অবস্থান বদল করল একাধিক বিরোধী দল। বিজেপি সূত্র মারফত খবর , ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার ১২২ সদস্য এই বিলকে সমর্থন করেছেন। তবে এই সমর্থন আরও বাড়বে বলেই তাঁদের আশা। রাজ্যসভায় উচ্চকক্ষে এই মুহুর্তে রয়েছেন ২৩৮ জন। যদিও এর আগে সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকায় রাজ্যসভায় বিলটি পাশ করাতে পারেনি বিজেপি।
অন্যদিকে, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বুধবার কার্যত নীরব থাকল তৃণমূল। বাংলায় এনআরসি করার তীব্র বিরোধীতা করে বিধানসভা উপনির্বাচনে বাংলার মানুষের সমর্থনও পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মন্ত্রিসভায় সৌগত রায় এবং ডেরেক ও ব্রায়েনের নেতৃত্বে এই বিলের বিরোধিতাও করে আপত্তিও জানান তাঁরা। তবে বুধবার বিষয়টি নিয়ে নীরব ছিল ঘাসফুল শিবির। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত নতুন বিল আসলে ফের আপত্তির ঝড় তুলতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
একদা নাগরিকত্ব বিল পাশ নিয়ে সংসদ থেকে বেরিয়ে আসা সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ)ও এদিন সমর্থন করে ক্যাবকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এ বছরের গোড়ার দিকে উত্তরপূর্ব ভারতে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা এই বিলের বিপরীতে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়। কিন্তু রাজ্যসভায় তাঁদের ক্যাবকে সমর্থন নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া রাজনৈতিক তরজা। বুধবার জেডি(ইউ)-এর বর্ষীয়ান নেতা বলেন যে উত্তর-পূর্বের কিছু সমমনস্ক দলের সঙ্গে আলোচনার পরই দলের অবস্থানে বদল হয়েছে এবং এই বিলকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে পদ্ম শিবিরের সঙ্গেই রয়েছে শিরোমনি অকালি দল এবং এলজেপি। আপ, এআইএডিএমকে এবং টিআরএস, যারা গত অধিবেশনেও এই গুরুত্বপূর্ণ বিলে সরকারকে সমর্থন করেছিল, নাগরিকত্ব বিল তৈরির ক্ষেত্রে এখনও তাঁদের অবস্থান ঘোষণা করেনি। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গত্যাগ করলেও নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মোদী সরকারকেই সমর্থন জানাচ্ছেন তাঁরা, এমনটাই দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন শিবসেনার বিনায়ক রাউত।