হাথরাসে গণধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য়কর মোড়। দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি, এমন চাঞ্চল্য়কর দাবিই করলেন উত্তরপ্রদেশের এডিডি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার। গুরুতর আহত হয়েই হাথরাসের দলিত তরুণীর মৃত্য়ু হয়েছে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি, ফরেন্সিক সায়েন্স ল্য়াবরেটরির রিপোর্ট তুলে ধরে পুলিশ আধিকারিকের এই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এডিজি বলেছেন, ''ফরেন্সিক সায়েন্স ল্য়াবরেটরির রিপোর্ট এসেছে। এতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে , কোনও ধর্ষণ বা গণধর্ষণ হয়নি। এমনকি, পুলিশকে দেওয়া বয়ানে তরুণী ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেননি। বরং মারধরের কথা বলেছিলেন''।
আরও পড়ুন: হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ড: পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, গ্রেফতার রাহুল গান্ধী
এ ঘটনায় তিনি আরও বলেছেন, ''সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করতে ও হিংসা ছড়াতে কয়েকজন ভুল তথ্য় তুলে ধরছেন। পুলিশ এ ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। এখন আমরা চিহ্নিত করব কারা সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন''।
প্রাথমিক মেডিক্য়াল রিপোর্টে, শ্বাসরোধ ও হেনস্থার কথা বলা হয়েছে। আলিগড় হাসপাতালের ডাক্তারদের রিপোর্টে ধর্ষণ সংক্রান্ত প্রমাণ 'অসম্পূর্ণ' বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নয়াদিল্লির হাসপাতালে মৃত্য়ু হয়েছে গণধর্ষিতার। গত ১৪ সেপ্টেম্বর উঁচুজাতের ৪ যুবক এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণের পাশাপাশি তাঁর উপর চরম নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতার জিভ কাটা ছিল। পাশাপাশি তাঁর মেরুদণ্ডে চোট লাগে। সেইসঙ্গে শরীরে আরও একাধিক ক্ষতচিহ্ন মেলে। ১৫ দিন আগে নির্যাতিতাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন