করোনা ভ্য়াকসিন তৈরি করে তা বাজারজাত করতে দ্য় বিল অ্য়ান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে হাত মেলাল সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া(এসআইআই)। করোনা ভ্য়াকসিন তৈরিতে আগেই অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তি সেরেছে তারা। নোভাভ্য়াক্সের সঙ্গেও এ ব্য়াপারে সদ্য় চুক্তি সেরেছে পুণের ওই সংস্থা। অক্সফোর্ড-অ্য়াস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্য়াকসিন ও নোভাভ্য়াক্সের ভ্য়াকসিন দ্রুত তৈরি করতে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে ১৫০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্য় বিল অ্য়ান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
নয়া চুক্তি অনুযায়ী, ১০০ মিলিয়ন ডোজের ভ্য়াকসিন তৈরি করে বাজারজাত করার দায়িত্ব বর্তেছে এসআইআই-এর উপর। প্রতি ডোজ পিছু যার দাম হবে ৩ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় মিলবে প্রায় ২২৫ টাকায়। ভারত ও কম-মাঝারি আয়ের যেসব দেশ রয়েছে, সেখানে ভ্য়াকসিন পৌঁছে দেবে তারা। এই আর্থিক সাহায্য়ের ফলে পুণের ওই ভ্য়াকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা বেশি সংখ্য়ক ভ্য়াকসিন বানিয়ে তা বিতরণ করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: প্রথম ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা উৎকৃষ্ট মানের হবে না, আশঙ্কা প্রকাশ বিল গেটসের
এসআইআই সূত্রে খবর, বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার(হু) থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন মিললেই ২০২১ সালের প্রথম ধাপেই ভ্য়াকসিন বাজারজাত করা হবে। জানা যাচ্ছে, ভ্য়াকসিন বিতরণ করা হবে কোভ্য়াক্স পদ্ধতিতে। উল্লেখ্য়, প্রতিটি দেশের কাছে যাতে যথাযথভাবে ভ্য়াকসিন পৌঁছোয়, তা নিশ্চিত করতেই কোভ্য়াক্স তৈরি করা হয়েছে। গ্য়াভি, কোলিশন অফ এপিডেমিক প্রিপিয়ার্ডনেস ইনোভেশনস(সিইপিআই) ও হু'র নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে কোভ্য়াক্স।
এদিকে,ভারতে মানবদেহে অক্সফোর্ডের করোনা টীকার ট্রায়াল করতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে ১৬০০ জনের শরীরে ভ্য়াকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে বলে দ্য় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন সরকারের এক শীর্ষ কর্তা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন