Advertisment

সিবিআই-এ ক্ষমতা হস্তান্তর, কোন সাতটি ফাইল পড়ে রইল?

রাফেল চুক্তির অভিযোগ থেকে মেডিকেল কাউন্সিলের কারছুপির মামলা। কয়লা খাদানের বরাদ্দের ক্ষেত্রে তদন্তে আইএএস কর্মকর্তা ভাস্কর খুলবে জড়িত থাকার অভিযোগ। তাছাড়া স্টার্লিং বায়োটেকের মামলার তদন্ত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফাইল চিত্র- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

রাফাল চুক্তি, মেডিকেল কাউন্সিলের কারচুপির মামলা, কয়লা ব্লক বরাদ্দের ক্ষেত্রে আইএএস কর্মকর্তা ভাস্কর খুলবে জড়িত থাকার অভিযোগের, স্টার্লিং বায়োটেক মামলায় স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার জড়িত থাকার অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত- এমনই ৭টি হাইপ্রোফাইল কেসের ফাইল ছিল অপসারিত সিবিআই ডিরেক্টর আলোক ভার্মার হাতে। আর এই মামলাগুলির তদন্ত অসম্পূর্ণ থাকাকালীনই সরতে হল তাঁকে।

Advertisment

সুপ্রিমকোর্টকে দেওয়া পিটিশনে আলোক ভার্মা বলেছেন, ''উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সরকারের পছন্দসই হতেই হবে, এরকম কোনও নির্দেশ দেওয়া ছিল না''। তিনি আরও বলেন, ''তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধান্ত নিতে হয়েছিল, সেগুলো রাকেশ আস্থানা একাই নিয়েছিলেন''।

ভার্মা তাঁর আবেদনে মামলাগুলিকে 'অত্যন্ত স্পর্শকাতর' আখ্যা দিয়ে সেগুলি উল্লেখ করেননি। তিনি আরও বলেছেন, আদালতে কোনও না কোনও ভাবে মামলাগুলি চলে আসবেই।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আলোক নাথের টেবিলে পড়ে থাকা সেই অসম্পূর্ন মামলাগুলির সন্ধান পেয়েছে। এবার এক নজরে সেগুলি দেখে নিন-

আরও পড়ুন, সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে রাতারাতি অপসারণ, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আলোক ভার্মা

* ফ্রান্সের সঙ্গে রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে অনিয়মের অভিযোগ: অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখছিলেন ভার্মার নেতৃত্বাধীন সিবিআই। সূত্রের খবর, ''সিন্ধান্ত গ্রহণের কথাও হয়েছিল''। ৪ অক্টোবর ১৩২ পাতার ওই অভিযোগ পেয়েছিলেন আলোক ভার্মা এবং ওই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা এবং অরুণ শৌরি এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।

* ভারতের মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (এমসিআই) ঘুষের মামলায় সিবিআই বিভিন্ন ক্ষেত্রের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের ভূমিকা যাচাই করছিল, এই মামলায় হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আই এম কুদ্দুসির নামেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি কুদ্দুসির বিরুদ্ধে চার্জশিটও তৈরি করা হয়েছে যা আলোক ভার্মার সইয়ের অপেক্ষায় ছিল।

*বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর চিঠির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় অর্থ ও রাজস্ব সচিব হাসমুখ আধিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত।

* দিল্লির একজন ব্যক্তির বাডড়িতে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রেইড করা হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে একটি পে-অফ তালিকা ও তিন কোটি নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সিবিআই-কে বলা হয়েছিল, ওই ব্যক্তি সিনিয়র পাবলিক সেক্টর ইউনিটে নিয়োগের জন্য রাজনীতিবিদ এবং কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার কাজে যুক্ত ছিলেন।

* সন্দেসারা ও স্টার্লিং বায়োটেকের মামলার কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে সিবিআই এবং এখন মামলায় রাকেশ আস্থানার ভূমিকা ক্ষতিয়ে দেখছেন তারা। এই ফাইলটিও অলোক ভার্মার টেবিলেই ছিল।

Read full story in English 

cbi
Advertisment