গরু প্রজননের ক্ষেত্রে এবার নয়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র, এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি বলেন, " ২০২০ সালের মধ্যে মোষ এবং গরুদের প্রজননের মেয়ে বাছুর তৈরির জন্য ১০০ টাকা প্রতি শিশি দরে নিষিক্ত বীর্য দেওয়া হবে।" লুধিয়ানার জাগরাওয়েনের ১৪ তম আন্তর্জাতিক দুগ্ধ এবং কৃষি সম্মেলনে এসে এমন মন্তব্যেই করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উল্লেখ্য, পাঞ্জাবের সর্ববৃহৎ গবাদিপশু কেনাবেচার বাজার এই জাগরাওন।
আরও পড়ুন: রাতে মন্ত্রীর ফোন বৈশাখীকে, ‘তুমি আছ বলেই লড়তে পারছ’
কেন্দ্রের পশুপালন, গবাদিপশু ও মৎস্যমন্ত্রী বলেন, "গবাদি পশু, বিশেষত মহিষ এবং গরুর মান উন্নত করতে দুগ্ধ খামারিদের বীর্য সরবরাহ করতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই পদ্ধতিতে কেবলমাত্র মেয়ে বাছুরই তৈরি করা সম্ভব হবে। ২০২০ সালের মধ্যেই ১০০ টাকা প্রতি শিশি দরে বীর্য সরবরাহ করা হবে গো-পালকদের। যার বর্তমান মূল্য ৬০০ টাকা প্রতি শিশি (ভর্তুকি দিয়ে)। ভর্তুকিবিহীন এক একটি শিশি কিনতে প্রায় ১২০০টাকা লাগে।" তিনি জানান যে, এই প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে ৬০০টি গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রতিটি গ্রাম থেকে ২০০টি গরুকে বীর্য দিয়ে বিনামূল্য প্রজনন করানোর সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: মমতা সরকারের মন্ত্রীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা একনজরে
গিরিরাজ সিং এও জানান যে গরুর 'মান উন্নয়ন' নিশ্চিত করতে ভ্রুণ স্থানান্তর প্রযুক্তিতেও উন্নতি আনতে চলেছে সরকার। এই প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করতেও চেষ্টা করছে তাঁরা। এই প্রক্রিয়ায় দুধের ফলনও অনেক বেশি হবে এবং গো-পালকরাও ভালো দাম পাবে বলেই আশাবাদী মন্ত্রী। তবে শুধু দুগ্ধ প্রকল্প নয়, মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কিছু অংশ, যেখানে লবণাক্ত জলের কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হন, সেখানে চিংড়ি এবং চিংড়ি চাষ করার কথাও বলেন তিনি।
Read the full story in English