দুজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হলে, তাতে যদি দুজনেরই সম্মতি থাকে তাহলে তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না। শুক্রবার যুগান্তকারী রায় দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় তখনই সেটাকে ধর্ষণ বলা যাবে, যদি সেই যৌন সম্পর্কে প্রতারণা বা মিথ্যাচার থাকে। অর্থাৎ দুজন প্রাপ্তবয়স্ক সহবাস করলে তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না।
এদিন বিচারপতি বেচু কুরিয়ান থমাসের বেঞ্চ এই তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে আইনজীবী নভনীত এন নাথকে জামিন মঞ্জুর করার পর। তাঁকে গত মাসে গ্রেফতার করা এক মহিলা আইনজীবীকে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সহবাস করার অভিযোগ ওঠে আইনজীবীর বিরুদ্ধে। কিন্তু পরে অন্য মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি।
সরকারি কৌঁসুলির অভিযোগ, প্রেমিকের বিয়ের খবর জানতে পেরে মহিলা আইনজীবী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বর্তমানে অভিযুক্ত আইনজীবী কেরল হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী। তাঁকে ৩৭৬ (২)(n), ৩১৩ ধারায় গ্রেফতার করা হয় গত ২৩ জুন।
আরও পড়ুন ‘দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হব!’, বিস্ফোরক পোস্টে কেন্দ্রকে হুমকি লাকি আলির
আদালত বলেছে, "যদিও দুজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হলেই বিয়ে করতে হবে এমন নয়, কিন্তু তা হলেও তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না। যেখানে এর কোনও প্রমাণ নেই অভিযুক্ত সম্মতি ছাড়াই যৌন সম্পর্ক করেছে। যদি বিয়েতে কেউ রাজি না হয় বা সম্পর্কের পরিণতি বিয়ে না হয় সেক্ষেত্রে সেটাকে ধর্ষণ বলা চলে না। তাতে দুজনে শারীরিক সম্পর্কে গেলেও বলা যাবে না।"
আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, "একজন পুরুষ ও মহিলার মধ্যে যৌন সম্পর্কে তখনই ধর্ষণ বলা যাবে যখন মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে বা বলপূর্বক হয়েছে।" অভিযুক্ত আইনজীবীকে জামিন দিয়েছে আদালত। তবে আদালতের নির্দেশ নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।