কাশী বিশ্বনাথ ধাম করিডরের উদ্বোধনে গিয়ে এক বই উদ্বোধনকে ঘিরে বিতর্কে জড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বইটি সম্পর্কে আপত্তি জানিয়ে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছে শিরোমণি গুরদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি। 'শ্রী কাশী বিশ্বনাথ ধাম কা গৌরবশালী ইতিহাস' নামে সেই বই এখন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু।
একটি সাংবাদিক সম্মেলনে প্রবন্ধক কমিটির সম্পাদক কুলবিন্দর সিং রামদাস বলেছেন, কাশী বিশ্বনাথ ধাম করিডরের উদ্বোধনের সময় এই বইটি প্রকাশ করা হয়। এবং সেটি প্রসাদ হিসাবে উত্তরপ্রদেশ সরকার সবার মধ্যে বিলি করে। এই বইতে শিখ আস্থায় আঘাত হানা হয়েছে এবং কাশীর সঙ্গে শিখদের সম্পর্ককে ভুলভাবে দেখানো হয়েছে।
রামদাস বলেছেন, "বইতে বলা হয়েছে পঞ্জ প্যায়ারেদের কাশীতে পাঠানো হয়েছিল। এই পঞ্জ প্যায়ারের মাধ্যমে খালসা পন্থ স্থাপিত করেন দশম গুরু গোবিন্দ সিং। বলা হয়েছে, পঞ্জ প্যায়ারেদের কাশীতে পাঠানো হয় সনাতন বা হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান নেওয়ার জন্য যাতে তাঁরা এই ধর্মকে রক্ষা করতে পারেন। বইতে আরও বলা হয়েছে, মোঘলদের হাত থেকে সনাতন ধর্মকে রক্ষা করতেই শিখ আস্থার জন্ম হয়। দুটো তত্ত্বই ভুল এবং শিখদের অবমাননা করার জন্য প্রকাশিত।"
তাঁর দাবি, "খালসা পন্থ তৈরি হয়েছিল মানবাধিকার লঙ্ঘন রক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষা করা এবং অত্যাচার, দুষ্টের হাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য। সনাতন ধর্মকে মোটেই রক্ষা করার জন্য নয়। দ্বিতীয়ত, যে পাঁচ শিখ ব্যক্তিকে কাশীতে পাঠানো হয় তাঁরা মোটেই পঞ্জ প্যায়ারে ছিলেন না যাঁরা শ্রী আনন্দপুর সাহিবে খালসা গঠনের সময় নিজেদের শির বলিদান দেন।"
আরও পড়ুন EC-কে আইন মন্ত্রকের তলব, ‘পিএম-ও নির্বাচন কমিশনকে বৈঠকে ডাকতে পারেন না’, সরব কুরেসি
রামদাসের কথায়, "শিখ ইতিহাসে কাশীর যে বর্ণনা আছে তাতে পাওনতা সাহিবে পণ্ডিত রঘুনাথ দেব ভাষা সংস্কৃত শিখ পড়ুয়াদের শেখাতে অস্বীকার করেন। কারণ তাঁরা শূদ্র ছিলেন। তখন গুরু গোবিন্দ সিং পাঁচ জন শিখকে কাশীতে পাঠান যাতে তাঁরা সংস্কৃত শিখতে পারেন সনাতন ধর্মের জ্ঞান নিতে নয়। পাঁচ জন শিখের সঙ্গে পবিত্র পঞ্জ প্যায়ারের কোনও সম্পর্ক নেই। ভাই দয়া সিং, ভাই ধর্ম সিং, ভাই হিম্মত সিং, ভাই মোহকাম সিং এবং ভাই সাহিব সিং হলেন পঞ্জ প্যায়ারে। তাঁরাই খালসা গঠনের সময় নিজেদের শির বলিদান দেন।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন