ফের একবার শাহিনবাগে গিয়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বললেন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত দুই মধ্যস্থতাকারী। জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে সমাধান সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের কাছে আবেদন করেন মধ্যস্থতাকারী সঞ্জয় হেগড়ে ও সাধনা রামচন্দ্রন।
গত সপ্তাহেই হিংসার আঁচে পুড়েছে উত্তর পূর্ব দিল্লি। নিহত ৪৭ জন। আহত কয়েকশো। এই পরিস্থিতিতেও শাহিনবাগ নিয়ন্ত্রিত থাকায় আন্দোলনকারীদের প্রশংসা করেন মধ্যস্থকারীরা। বিক্ষোভকারীদের মাঝে দাঁড়িয়ে মধ্যস্থতাকারীরা একটি বিবৃতি পড়েন। সেখানে বলা হয়েছে, 'সামনেই রঙের উৎসব হোলি। সংবিধানের মধ্যে থেকে দেশের স্বার্থে সদর্থক সমাধানের জন্য আর্জি জানাচ্ছি।'
মধ্যস্থতাকারী হেগড়ে ও রামচন্দ্রন বলেন, 'শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের উপর আমরা কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাই না। বরং চাই তাঁদের মধ্যে থেকেই কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসুক। দ্বিতীয় পর্যায়ের আমরা চাই আন্দোলনকারীরা নিজেরাই সমাধানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুক। অধিকাংশ সহমত হলে তা আমাদেরকে জানানো হোক। আন্দোলনকারীরা কর্তৃব্যপরায়ণ নাগরিক- এই বিষয়টিকে বিবেচনা করে তাঁরা যেন সিদ্ধান্ত নেয় সেই আর্জি আমরা জানিয়েছি। সমাধান সূত্র অবশ্যই সংবিধানের কথা বিবেচনা করেই গ্রহণ করতে হবে।' শাহিনবাগ সহ দেশের পরবর্তী প্রজন্মের কথা মাথায় রেখেই যাতে এই সমাধানের বিষয়টি করা হয় তারও আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাহিনবাগ মামলা ২৩ মার্চ পর্যন্ত মুলতুবির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ইতিমধ্যেই শাহিনবাগ নিয়ে মধ্যস্থতাকারীরা তাঁদের রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টের এসকে কৌল ও কেএম জোসেফের কাছে জমা দিয়েছেন। সিএএ বিরোধী আন্দোলনের ভরকেন্দ্র বর্তমানে দিল্লির শাহিনবাগ। গত দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে সংখ্য়ালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলারা শাহিনবাগে রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান আন্দোলন চালাচ্ছেন। যার ফলে যানবাহণ ও মানুষেপ যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছিল। যার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়ে। আদালত প্রতিবাদ আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিলেও আন্দোলনকারীদের অন্যত্র সরে যাওয়ার কথা বলে। পরে, সমাধান সূত্রের খোঁজে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে সর্বোচ্চ আদালত।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন