Shallow earthquake of magnitude 4 shakes Delhi: সোমবার সাতসকালে রাজধানী দিল্লিতে ভূমিকম্পের জেরে চূড়ান্ত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘর-বাড়ি ছেড়ে প্রাণভয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন বহু মানুষ। ভূমিকম্পের তীব্রতায় রীতিমতো কেঁপে ওঠে দিল্লি NCR-এর বহুতলগুলি। এদিন রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। তবে ভূমিকম্পের জেরে বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর ৫:৩৬ মিনিট দিল্লি NCR জুড়ে ভূমকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের তীব্রতায় দিল্লি NCR-এর সব বাড়ি-ঘর কেঁপে ওঠে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। এদিন ভূমিকম্প ৪-৫ সেকেন্ড ধরে স্থায়ী ছিল। ঘর-বাড়ি কাঁপতে শুরু করলে বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তবে অনেকেই বাড়িতে আটকে থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করতে থাকেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে শুধু দিল্লি NCR-ই নয়, উত্তর ভারতের আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে এদিন সকালে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে আপাতত কোথাও ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। এর আগেও রাজধানী দিল্লিতে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। ২০২২ সালে হরিয়ানায় যে ভূমিকম্প হয় তার তীব্রতা ছিল ৪.১।
আরও পড়ুন- New Delhi Railway Station Stampede: 'চোখের সামনে এত মৃত্যু, রাতের খাবারও খেতে পারিনি'... ! মর্মান্তিক পরিণতিতে বুক কেঁপে উঠবে
ন্যাশনাল সেন্টার অফ সিসমোলজি জানিয়েছে, এদিন ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ধৌলা কুয়ানের ঝিল পার্ক এলাকায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ কিমি নীচে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। অগভীর ভূমিকম্প, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ বা ১০ কিমি নীচে উৎপন্ন হয়, ভূপৃষ্ঠের গভীরে উৎপন্ন হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে এটি বেশি ক্ষতি করে।
ভূমিকম্পের পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনগণকে শান্ত থাকার ও নিরাপত্তা-সতর্কতা অনুসরণ করার এবং "সম্ভাব্য আফটারশক"-এর জন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, "সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির উপর গভীর নজর রাখছে।"
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, এই এলাকা ৪ মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়েছে। ২০২২ সালে, দিল্লির প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানায় যে ভূকম্পন অনুভূত হয় রিখটার স্কেলে তার কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.১। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে গত ১০ বছরে ৫ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হয়নি।