অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রতি তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। কংগ্রেসের ডাকা সিএএ বিরোধী বৈঠকে গতকাল হাজির হননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তাঁর সমালোচনা করেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ। কেজরিওয়ালকে 'নপুংসক' বলে মন্তব্য করেন থারুর। যা শোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর। মঙ্গলবার কেজরিওয়ালকে প্রসঙ্গে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন থারুর। প্রাচীন ইংরেজ রাজনীতিতে বহু চর্চিত পংক্তিটি বর্তমানে তাঁর ব্যবহার করা উচিত হয়নি বলেও জানান।
এদিন টুইটে কংগ্রেস সাংসদ থারুর লেখেন, 'দায়িত্বহীন ক্ষমতা মন্তব্য প্রসঙ্গে যারা আমাকে আক্রমণ করেছেন তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ইংরেজ রাজনীতিতে এই বহু চর্চিত পংক্তিটি কিপ্লিং, স্ট্যানলি বল্ডউইন ও সাম্প্রতিকালে টম স্টপার্ড প্রায়ই ব্যবহার করে থাকেন। আমি বুঝতে পেরেছি বর্তমানে এই পংক্তির ব্যবহার যথোপযক্ত হয়নি, আমি মন্তব্য প্রত্যাহার করছি।'
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করতে বললেন শশী থারুর
কেজরিওয়ালের কংগ্রেসের সিএএ বিরোধী বৈঠকে যোগ দেননি। সেই প্রসঙ্গেই সিএনএন নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সোমবার শশী থারুর বলেছিলেন, 'নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন কেজরিওয়াল, আবার তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও করছেন না। উনি দু'দিকেই থাকার চেষ্টা করছেন। দিল্লিতে সিএএ প্রতিবাদীদের প্রতি তাঁর কোনও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নজরে আসেনি। অন্য কোনও রাজ্যে পড়ুয়াদের প্রতি এই ধরনের আচরন হলে মুখ্যমন্ত্রীরা আক্রান্তদের কাছে পৌঁছে উদ্বেগ প্রকাশ করতেন। উনি সত্যিই দয়িত্বহীন ক্ষমতা চান। যা বহু যুগ ধরেই নপুংসকদের আচরণ বলে সবার জানা।'
এরপরই শোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে থারুরের মন্তব্য। প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কেন 'নপুংসক' শব্দ ব্যবহার করা হল তার জবাব দাবি করা হয়। এরপরই এদিন নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চেয়ে নেন শশী থারুর।
Read the full story in English