Advertisment

দেশদ্রোহিতা মামলায় গ্রেফতারির ১০ দিন আগে নোটিস দিতে হবে শেহলা রশিদকে

কাশ্মীরে সশস্ত্র বাহিনীর সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য রটানোর অভিযোগে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা এবং অন্যান্য ফৌজদারি অভিযোগ আনে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Shehla Rashid, Sedition

শেহলা রশিদ (ফাইল ফোটো)

কাশ্মীর নিয়ে টুইটের জেরে যদি দেশদ্রোহিতা আইনে সমাজকর্মী শেহলা রশিদকে গ্রেফতার করতে হয়, তাহলে ১০দিন আগে তাঁকে নোটিস দিয়ে বিষয়টি জানাতে হবে। আদালত এর আগেস শেহলা রশিদকে ৫ নবেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সুরক্ষাকবচ দিয়েছিল।

Advertisment

অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সতীশ কুমার অরোরা বলেন, অভিযোগের ধরন এবং তদন্তকারী অফিসারের তদন্ত প্রাথমিক স্তরে রয়েছে বলে যে বয়ান, সে কথা নজরে রেখে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তদন্তকারী আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যদি আবেদনকারী তথা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হয়, তাহলে তাঁকে গ্রেফতারির ১০ দিন আগে নোটিস দিতে হবে।

আরও পড়ুন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দফতরে সিবিআই হানা

১৮ অগাস্ট শেহলা রশিদ বেশ কয়েকটি টুইট করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং রাজ্যকে দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেবার পর উপত্যকায় শিশু ও তরুণদের উপর সেনাবাহিনী অত্যাচার চালাচ্ছে।

কাশ্মীরে সশস্ত্র বাহিনীর সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য রটানোর অভিযোগে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা এবং অন্যান্য ফৌজদারি অভিযোগ আনে।

শেহলা রশিদের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী সতীশ টামটা এবং আইনজীবী সারিম নাবেদ। তাঁর কৌঁশুলিরা আগাম জামিন চেয়ে তাঁর অন্তর্বর্তী সুরক্ষা কবচের আবেদন করে জানান. শেহলা রশিদ তদন্তে যোগ দিতে প্রস্তুত।

রশিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় আইনজীবী অলখ অলোক শ্রীবাস্তবের অভিযোগের ভিত্তিতে। তিনি বলেন, "শেহলার আনা অভিযোগ ভুয়ো, ভিত্তিহীন এবং সাজান। তিনি অত্যাচারের কোনও প্রমাণ দেননি... তিনি দেশে হিংসা ছড়ানো এবং জম্মু কাশ্মীর অশান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন।"

আরও পড়ুন, ‘রাফালের সিবিআই তদন্ত হোক’, সাংবাদিক বৈঠকে দাবি প্রশান্ত ভূষণের

পুলিশ শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ (দেশদ্রোহিতা), ১৫৩এ (ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, নিবাস ও ভাষার ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসা ছড়ানো), ১৫৩ (দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উত্তেজনা ছড়ানো), ৫০৪ (শান্তি বিঘ্ন করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত অপমান) এবং ৫০৫ ( জনগণের অনিষ্টহেতু বিবৃতিদান) ধারায় অভিযোগ আনে।

শেহলা রশিদ বর্তমানে প্রাক্তন আইএএস অফিসার শাহ ফয়জল নেতৃত্বাধীন জম্মু কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্টের সদস্য।

kashmir Sedition
Advertisment