Advertisment

নাগরিকত্ব আইন 'অপ্রয়োজনীয়', জানালেন শেখ হাসিনা

তবে, বারে বারেই তিনি জানিয়েছেন, সিএএ ও এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী।

ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আগেই প্রতিক্রিয়া এসেছিল প্রতিবেশী বাংলাদেশের তরফে। এবার সিএএ নিয়ে মুখ খুললেন স্বংয় সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ভারতের 'অভ্যন্তরীণ বিষয়' বললেও তার 'প্রয়োজন ছিল না' বলে জানান হাসিনা।

Advertisment

আবু ধাবিতে গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'নাগরিকত্ব আইন সংশোধন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তই এই আইন তৈরির কেন প্রয়োজন হল তা বুঝতে পারছি না। এই আইনের কোনও প্রয়োজন ছিল না।' মোদী সরকারের দাবি, ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নিপীড়িতরা (হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিষ্টান, পার্সি) ভারতে প্রবেশ করেছেন তাদের নাগরিকত্ব দিতেই সিএএ তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে হাসিনার মন্তব্য বেশ তাৎপর্যবাহী।

আরও পড়ুন: সিএএ সম্পর্কে বাংলাদেশের আশঙ্কা বাড়িয়ে ভুল করছে ভারত

গত ডিসেম্বরেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হয় ভারতের সংসদে। নয়া আইন তৈরির পরই ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই আইন তৈরির কয়েক দিনের মধ্যেই ভারত সফর বাতিল করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছিলেন সিএএ এবং এআরসি ভারতের 'অভ্যন্তরীণ বিষয়'। তবে কোনও বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি দেশে বিতর্ক দানা বাঁধলে তার প্রভাব প্রতিবেশী দেশেও পড়তে বাধ্য।

ভারতের সর্বত্র এনআরসি হবে। কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই ভারত থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের প্রবণতা বেড়েছে। এই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, 'ভারত থেকে বাংলাদশে অভিবাসীরা প্রবেশ করছে না। তবে, সেদেশে মানুষকে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।' বারে বারেই অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, সিএএ ও এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

আরও পড়ুন: এনআরসি তালিকাহীনদের ফেরানো হবে না, হাসিনাকে আশ্বাস মোদির

হাসিনার কথায়, 'নয়াদিল্লি সব সময় বলেছে সিএএ ও এনআরসি ভারতে অভ্যন্তরীণ বিষয়। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত সফরের সময়ও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাকে বলেছিলেন চিন্ততার কোনও কারণ নেই।' ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বসে কী তিনি আশ্বস্ত? দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে হাসিনা বলেছিলেন 'অবশ্যই'।

প্রতিবেশী হিসাবে ভারত-বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে একে অপরের সহযোগী। এই বিষয়টির উল্লেখ করে হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে এই দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক সব চেয়ে ভাল।

Read the full story in English

Bangladesh Sheikh Hasina caa
Advertisment