যেন নাটকের একের পর এক পর্দা উন্মোচন। 'হাকিকি মার্চ' চলাকালীন পঞ্জাবের গুজরানওয়ালায় গুলিবিদ্ধ হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জানা গেল, তাঁর ডান পায়ে গুলি লেগেছে। পরে জানা গেল, শুধু ইমরানই নন। একটি শিশু-সহ আরও সাত জন গুলিবিদ্ধ। একে-৪৭ থেকে গুলি চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠল। এরপরে খবর এল, গুলিবিদ্ধদের একজন মারা গিয়েছেন। কিন্তু, ইমরান বিপন্মুক্ত।
আর এর মধ্যেই অভিযুক্তকে ধরে ফেললেন ইমরানের দলের লোকজন। তাঁকে মারধর করা হল। গন্ডগোল চলাকালীন কীভাবে যেন গুলিবিদ্ধ হয়ে খুনও হয়ে গেলেন অভিযুক্ত হাসান আয়ুব খান। বেশ কিছুক্ষণ গোটা বিষয়টি নিয়ে নীরব থাকার পর ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ইমরান ও তাঁর দলের আহত লোকজনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেন।
আর, তারও কিছুক্ষণ পর প্রকাশিত হল একটি ভিডিও। যে ভিডিওটি অভিযুক্ত হাসান আয়ুব খানের। আর, সেই ভিডিও পাকিস্তানের সাংবাদিক হামিদ মির। যে ভিডিওতে অভিযুক্ত বলছেন, 'আমি তাঁকে (ইমরান খান) হত্যা করতে চেয়েছিলাম। কারণ, তিনি জনগণকে ভুলপথে চালনা করছেন। আমিই তাঁকে গুলি করার চেষ্টা করেছি, অন্য কেউ নয়। তিনি লাহোর ছাড়ার সময়ই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি একাই সব করেছি। আর, কেউ এতে জড়িত নয়।'
আর, এতেই উঠছে প্রশ্ন। যাঁকে তাহলে পিটিয়ে হত্যা করা হল, সে কে? অভিযুক্ত কি গুলি করে এসে ভিডিও প্রকাশ করে আবার ঘটনাস্থলে গণপিটুনি খেতে গেলেন? কিন্তু, সে তো অসম্ভব। তাহলে, তিনি কি আগেই ভিডিও তৈরি করে, পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে গেলেন? কেউ তাঁকে সহযোগিতা করেনি। তাহলে কোথা থেকে তিনি অত্যাধুনিক অস্ত্র পেলেন? ঘটনাস্থলে পঞ্জাব পুলিশের কর্মীরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন ইমরানের দেহরক্ষীরা। তাঁদের ফাঁকি দিয়ে তিনি কীভাবে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছলেন? কী করেই বা এই ভিডিও সাংবাদিক হামিদ মিরের কাছে এল?
আরও পড়ুন- গুলিবিদ্ধ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, বেশ কিছুক্ষণ পর নিন্দা শেহবাজের
আরও পড়ুন- কার নিশানায় ইমরান খান? ক্যামেরায় ধরা পড়ল হামলাকারী
এই হাজারো প্রশ্নের উত্তর এখন পঞ্জাব পুলিশই দিতে পারে। যে পাক পঞ্জাবের একসময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শেহবাজ শরিফ। পাক পঞ্জাব তাঁর গড় বলে পরিচিত। যাইহোক, শেহবাজ পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহকে নির্দেশ দিয়েছেন আইজি পুলিশ ও পাক পঞ্জাবের মুখ্যসচিবের থেকে অবিলম্বে রিপোর্ট নিতে, যে কীভাবে এতবড় ঘটনা ঘটল!
Read full story in English