জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন (NFSA) ২০১৩ সালে কার্যকর হওয়ার পর থেকে দেশে মাথাপিছু আয় ৩৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুপ্রিম কোর্টকে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র হলফনামায় জানিয়েছে, মাথাপিছু আয়ের এই বৃদ্ধি বিপুলসংখ্যক পরিবারকে উচ্চআয়ের শ্রেণিতে নিয়ে যেতে বাধ্য। যার ফলে ওই পরিবারগুলো ২০১৩-১৪ সালের মতো দুর্বল আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন না-ও হতে পারে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কল্যাণমূলক ব্যবস্থা চেয়ে দায়ের হয়েছিল মামলা। সেই মামলার হলফনামায় এমনটাই জানিয়েছেন মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের বিজ্ঞাপনে বলেছে, মানুষের জীবনচক্র পদ্ধতির লক্ষ্য খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা প্রদান। মানুষের জীবনযাপনের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে মানসম্পন্ন খাদ্যের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
এই আইন মর্যাদার সঙ্গে লক্ষ্যযুক্ত সরকারি গণবণ্টন ব্যবস্থা (TPDS) নিশ্চিত করে থাকে। যে আইনের অধীনে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য পান গ্রামীণ জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ এবং শহুরে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্র জানিয়েছে, যে সমস্ত পরিবারগুলো দীর্ঘদিন এই ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য পেয়েছে, সেই গ্রামীণ এবং শহরের পরিবারগুলোর আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। তাই তাদের আর এই ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য দেওয়া উচিত নয়। কারণ, তা স্রেফ সরকারের ওপর বোঝা বৃদ্ধি। তাই তালিকা থেকে ওই সব পরিবারগুলোর নাম বাদ যাবে।
আরও পড়ুন- রিলের থ্রিলার রিয়েলে, বলির লক্ষ্যে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার পুলিশের
এর আগে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল যে, পরিযায়ী শ্রমিকরা দেশ গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই তাঁদের অধিকারকে একেবারেই উপেক্ষা করা যায় না। শীর্ষ আদালত এই জন্য কেন্দ্রকে একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে বলেছিল। যাতে পরিযায়ী শ্রমিকরা রেশন কার্ড ছাড়াই খাদ্যশস্য পায়। কারণ, হাজারো উন্নয়ন সত্ত্বেও নাগরিকরা ক্ষুধার কারণে মারা যাচ্ছেন। তাই সর্বাধিক পরিযায়ী শ্রমিককে রেশন দেওয়া নিশ্চিত করার পদ্ধতি নির্ধারণ করা উচিত।
অবশ্য, এই ব্যর্থতার দায় মোদী সরকার নিজের কাঁধে নেয়নি। বদলে আদালতকে জানিয়েছে, কিছু রাজ্য তাদের লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ওই রাজ্যগুলো সরকারি প্রকল্প সঠিকভাবে নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি। তাই এমন ঘটনা ঘটছে।
Read full story in English