Kashmir’s Kulgam fight: শনিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে দুটি পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ছয় জঙ্গি মারা গিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই জওয়ানও এই গুলিযুদ্ধে শহিদ হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি লড়াইয়ের মধ্যে একটি শেষ হলেও অপরটি এখনও চলছে। শনিবার প্রথমে মোটারগাম এবং তারপর চিনিগাম গ্রামে এই গুলির লড়াই শুরু হয়। লড়াইয়ে শনিবারই দুই জওয়ান শহিদ হয়েছিল। পাশাপাশি, শনিবার চার জঙ্গি মারা যায়। রবিবার সকালে মারা যায় আরও দুই জঙ্গি।
এই জঙ্গিদের দমনকে একটি 'মাইলফলক' বলে অভিহিত করে কাশ্মীর পুলিশের মহানির্দেশক (ডিজিপি) আরআর সোয়াইন বলেছেন যে রক্ষীরা 'উপত্যকাবাসীর সাহায্যে' জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে অবশ্যই জয়ী হবে। ডিজি সাংবাদিকদের বলেন, 'মৃতদেহ শনাক্তের পর জানা যায় যে ছয় জঙ্গি মারা গেছে। এটা একটা বড় মাইলফলক। জঙ্গিদমনে একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। উপত্যকায় নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে এই সাফল্যের বিরাট তাৎপর্য।'
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর একটি যৌথ দল শনিবার গ্রামে জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী হানা দিয়েছিল। মোটারগাম গ্রামটি ঘিরে ফেলেছিল। নিরাপত্তারক্ষীদের দেখতে পেয়ে জঙ্গিরা নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। এইসময় গুলি বিনিময়ে এক জওয়ান শহিদ হন। একইভাবে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চিনিগাম গ্রামেও হানা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেখানেও এলাকা ঘিরে ফেলার পর আরেকটি গুলির লড়াই শুরু হয়। চিনিগ্রামে গুলির লড়াইয়ে চার জঙ্গির মৃত্যু হয়। শহিদ হন এক জওয়ান।
আরও পড়ুন- ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী, কে এই কেয়ার স্টারমার? পরিচয়টা জানলে চমকে উঠবেন
সূত্রের খবর, রবিবার সকালে আবার গুলি বিনিময় শুরু হলে আরও দুই জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যেহেতু মোটারগামে এখনও গুলির লড়াই চলছে, এই অভিযানের সম্পূর্ণ বিবরণ শুধুমাত্র লড়াই শেষ হওয়ার পরেই প্রকাশ করা হবে বলেই যৌথবাহিনী জানিয়েছে। বাহিনী সূত্রে খবর, চিনিগামে মৃত জঙ্গিরা স্থানীয়। তবে, পুলিশ এখনও দেহগুলো শনাক্ত করতে পারেনি