ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় গণধর্ষণের শিকার এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। এই ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দল জোট সরকারকে আক্রমণ করে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। ইতিমধ্যে, ঝাড়খণ্ড সরকার চাইবাসা গণধর্ষণ তদন্তের জন্য একটি সিট গঠন করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২০ অক্টোবর চাইবাসায় গণধর্ষণের শিকার হন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ১০ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড সরকারের নির্দেশে একটি সিট গঠন করা হয়েছে।
নির্যাতিতার অভিযোগ, গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় তিনি তাঁর বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। দুজনে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় ৮-১০ জন অজ্ঞাত পরিচয় যুবক তাদের কাছে আসে। প্রথমে দুজনকেই মারধর করা হয়, এরপর মহিলাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে তারা তাঁর ওপর অকথ্য অত্যাচার চালায়।
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, “দোষীদের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। আসামিদের ধরতে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে অভিযুক্তরা খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে”।
আরও পড়ুন : < চপার দুর্ঘটনায় পঞ্চম সেনা কর্মীর খোঁজে জারি তল্লাশি, উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ >
ঝাড়খণ্ডে বেশ কয়েক মাস ধরেই মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের দুমকায় এক মহিলা গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহিলাকে রাঁচির রাজেন্দ্র ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (RIMS) ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ ওই মহিলা বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামী গায়ে পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার হুমকি দিচ্ছিলেন”। এর আগে দুমকায় অঙ্কিতা ও মারুতি নামের দুজনের গায়েই পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনেরই মৃত্যু হয়।