Advertisment

'আফজল গুরুকে বলির পাঁঠা করা হয়েছিল কিনা তার তদন্ত হোক'

আফজল গুরুর লেখা চিঠি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে সোনি টুইটারে বলেন, "বিচারের নামে প্রহসন" হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

২০০১ সালের সংসদ ভবনে হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত আফজল গুরুকে "বলির পাঁঠা" আখ্যা দিয়ে বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেত্রী সোনি রাজদান মঙ্গলবার দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপার দভিন্দর সিংয়ের ভূমিকার তদন্ত করা হোক। টুইটারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী প্রশ্ন তোলেন, কেন আফজল গুরুকে "বলির পাঁঠা" বানিয়ে ২০১৩ সালে ফাঁসি দেওয়া হয়, যখন গুরুর দাবি অনুযায়ী, তার কাছে হামলাকারীদের একজনকে সাহায্য করার নির্দেশ আসে সিংয়ের কাছ থেকে। উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় দভিন্দর সিংকে।

Advertisment

আফজল গুরুর লেখা চিঠি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে সোনি টুইটারে বলেন, "বিচারের নামে প্রহসন" হয়েছে। তাঁর একটি টুইটে সোনি লেখেন, "সে যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তবে সেই মৃত লোকটাকে কে ফিরিয়ে আনবে? এই জন্যই মৃত্যুদণ্ডকে হালকাভাবে নেওয়া যায় না। এবং এই জন্যই রীতিমতো তদন্ত হওয়া দরকার, যে আফজল গুরুকে কেন বলির পাঁঠা বানানো হলো।"

আরও পড়ুন: ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে দিল্লি সফরের অনুমতি আদালতের

পরে আরেকটি টুইটে অভিনেত্রী স্পষ্ট করে দেন যে তিনি আফজল গুরুকে "নির্দোষ" বলছেন না, কিন্তু এই মামলায় দভিন্দর সিংয়ের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। "কেউ বলছে না যে (গুরু) নির্দোষ। কিন্তু যদি তার ওপর অত্যাচার হয়ে থাকে, এবং তারপর সেই অত্যাচারীর আদেশ পালন করতে বলা হয়, তবে কি তার পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত নয়? দভিন্দর সিং সম্পর্কে তার অভিযোগে কেউ কান দেয় নি কেন? সেখানেই প্রহসন।"

দক্ষিণ কাশ্মীরের একটি পুলিশ চেকপোস্টে দুই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গির সঙ্গে একটি গাড়িতে সফর করার সময় ধরা পড়েন দভিন্দর সিং। তাঁর নামে অভিযোগ, তিনি ২০০১-এর সংসদ ভবন হামলায় জড়িত ছিলেন। তার উকিলকে ২০০৪ সালে তিহার জেল থেকে লেখা এক চিঠিতে সন্ত্রাসের অভিযোগে কারাবন্দি আফজল গুরু জানায়, “ডিএসপি দভিন্দর সিং”, যিনি সেসময় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশনস গ্রুপের সঙ্গে হুমহামায় মোতায়েন ছিলেন, আফজলকে বলেন যেন সে “মহম্মদকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি যায়, তার থাকার জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া করে দেয়, এবং তাকে গাড়ি কিনে দেয়”। যে মহম্মদের কথা বলা হয়েছে, সে পাকিস্তানি নাগরিক, যাকে সংসদ ভবনের হামলাকারীদের একজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

সন্ত্রাসের অভিযোগে আফজল গুরুর ফাঁসি হয় ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালে। সংসদের ওপর হামলার ঘটনায় দভিন্দর সিংয়ের ভূমিকা নিয়ে কোনোরকম তদন্ত হয়নি।

এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, সংসদ ভবন হামলায় দভিন্দর সিংয়ের ভূমিকা সম্পর্কে তদন্ত করাতে আগ্রহী তারা। বর্তমানে জঙ্গিদের সঙ্গে সিংয়ের জড়িত থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে এনআইএ।

Advertisment