সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর নামে আয়কর মামলা গড়াল শীর্ষ আদালতে। আগামী মাসের ৪ তারিখ এ মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। ২০১১-১২ অর্থবর্ষে করের পুনর্মূল্যায়ন করতে চেয়ে নোটিস ইস্যু করেছিল আয়কর দফতর। আয়কর দফতরের সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টে সোনিয়া-রাহুলের সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। দিল্লি হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন সোনিয়া-রাহুল। অবশেষে ৪ ডিসেম্বর সেই মামলার শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
শুধু সোনিয়া, রাহুলই নন, কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজও ১০ সেপ্টেম্বরের দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে আয়কর মামলার সঙ্গে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার যোগ রয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, আয়কর দফতর এ মামলায় নিজেদের কৌঁসুলীকে নিযুক্ত করেছিল। যদিও তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনও নোটিস জারি করে নি শীর্ষ আদালত।
Supreme Court agrees to hear appeals of Congress President Rahul Gandhi,Sonia Gandhi and Oscar Fernandes challenging the Delhi High Court order refusing them relief in a case of re-opening of their tax assessments for the year 2011-12, on December 4.
— ANI (@ANI) November 13, 2018
আরও পড়ুন: অস্বস্তি বাড়ল সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছিল আয়কর দফতর। হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে যদি কেউ আপিল করেন, তবে তার যেন শুনানি হয়, এই মর্মে ক্যাভিয়েট দাখিল করে আয়কর দফতর।
উল্লেখ্য, ২০১১-১২ অর্থবর্ষে কর পুনর্মূল্যায়ন করতে চেয়ে মার্চে নোটিস জারি করে আয়কর দফতর। আয়কর বিভাগের সেই নোটিসের বিরোধিতা করেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও দলীয় নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ। ২০১১-১২ অর্থবর্ষে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড থেকে অর্জিত আয়ের পরিমাণ তাঁরা প্রকাশ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। রাহুল, সোনিয়া, অস্কাররা কর ফাঁকি দিতে নথি গোপন করেছেন বলেও আদালতে অভিযোগ জানিয়েছে আয়কর দফতর।
এদিন সংক্ষিপ্ত শুনানির পর বিচারপতি এ কে সিক্রি ও এস এ আব্দুল নাজিরের বেঞ্চ জানিয়েছে যে, কোনও নোটিস জারি করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানি হবে ৪ ডিসেম্বর।
এদিকে, গতকাল ছত্তিসগড়ের এক জনসভায় সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন যে, মা-ছেলে দু’জনেই জামিনে মুক্ত। তিনি বলেন, যাঁরা জামিনের আর্জি জানান, তাঁদের মোদীকে সার্টিফিকেট দেওয়া ঠিক নয়। মোদী আরও বলেন যে, মা-ছেলের ভুলে গেলে চলবে না যে, নোট বাতিলের জন্যই তাঁরা জামিন চেয়েছিলেন।
Read the full story in English