করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন, আর তার ফলেই দেশের একাধিক রাজ্যের অর্থনীতি মারাত্মক চাপের মুখে। মূলধন ব্যয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হচ্ছে অনেকটাই। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই বৃহস্পতি জিএসটি কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক ডাকল মোদী সরকার। মনে করা হচ্ছে বকেয়া বিলের ছাড়পত্র এবং ক্ষতিপূরণ কীভাবে কি দেওয়া যায় যে বিষয়টি আজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বৈঠকে।
মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কর্ণাটক এবং ত্রিপুরা ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বেতন পরিশোধে দেরি হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। উত্তর প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং মধ্য প্রদেশে শিক্ষাব্যবস্থার কর্মীদেরও বেতন বিলম্বিত হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বেশিরভাগ রাজ্যই এই বছরের এপ্রিল থেকে মুলতুবি থাকা জিএসটি ক্ষতিপূরণ পরিশোধের ছাড়পত্র নিয়ে কেন্দ্রের মুখোমুখি হতে পারে। রাজস্ব ঘাটতির সীমা এবনবগ বকেয়া বিলের বিষয় নিয়েও অন্যান্য রাজ্যের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও সুর চড়াবে বৈঠকে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, সুশান্তকাণ্ডে রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর এবার এনসিবি-র
লকডাউনে প্রথম থেকে চাপে ছিল অর্থনীতি। সমস্ত কর্মক্ষেত্র বন্ধ হওয়ায় রাজ্যের আয় বৃদ্ধির জায়গাও ছোট হয়ে যেতে থাকে। এদিকে অতিমারী রুখতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে ব্যাপক হারে আর্থিক সাহায্য করতে বাধ্য হয় সরকার। কিন্তু ট্যাক্স, জিএসটির অবস্থায় খুব খারাপ। অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় আর পেট্রোল-ডিজেল ছাড়া শুল্ক আদায়ের জায়গাও ছিল না। এই প্রেক্ষিতে এর আগে কেন্দ্রের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল।
এক রাজ্যের অর্থমন্ত্রী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, "কোভিড-১৯ পরিস্থিতি রাজ্যগুলির আর্থিক অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে। অতিমারী কমাতে এমনিতেই ব্যাপক ব্যয় বেড়েছে সরকারের। আমাদের সমস্ত কর ভারত সরকার গ্রহণ করেছে, তারপরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং এখন তারা বলছে যে আমরা আপনাকে দিতে পারি না, আমাদের কাছে টাকা নেই।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন