Stampede At New Delhi Railway Station Updates: প্ল্যাটফর্ম বদলের ঘোষণাতেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নয়া দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ নয়, মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। রিপোর্টে দুর্ঘটনার কারণ জানিয়েছে আরপিএফ।
১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৮ জনের। গুরুতর আহত হন ১৫ জন পূন্যার্থী। যদিও কী কারণে ঘটে গেল এত বড় দুর্ঘটনা তা এখনো জানা যায়নি। RPF-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে প্ল্যাটফর্ম বদলের ঘোষণার পরেই যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যার জেরেই ঘটে গিয়েছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
তবে, উত্তর রেলওয়ের সিপিআরও RPF-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনকে কেবল একটি বিবৃতি বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে কমিটির তদন্তের পরে প্রকৃত সত্য সামনে আসবে। এই রিপোর্টে, ২০ জন নিহত এবং ১০ জন যাত্রীর আহত হওয়ার উল্লেখ রয়েছে। যেখানে পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০। প্ল্যাটফর্ম বদলের ঘোষণাতেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু। এনিয়ে রেল ও RPF-এর মধ্যে ভিন্ন সুর। ঘটনার পরের দিন সকালে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল দুর্ঘটনায় মোট ১৮ জন নিহত হয়েছেন, কিন্তু এরপর যখন আরপিএফ এই বিষয়ে একটি প্রেস নোট জারি করে, তখন তাতে ২০ জনের মৃত্যুর সংখ্যা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়।
আরপিএফের জারি করা এক প্রেস নোটে লেখা হয়েছে, 'মোট ৩০ জন আহত যাত্রীকে দিল্লির তিনটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে গেছেন এবং ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।' এখন প্রশ্ন হলো, ঘটনার তিন দিন পরেও, পদপিষ্টের ঘটনায় আসলে কতজন মারা গেছেন তা স্পষ্ট নয়। নরসিংহ দেব (প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার, নর্দার্ন রেলওয়ে) বলেন, "আমরা তদন্ত শুরু করেছি।' আমরা সমস্ত প্রমাণ, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। আমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও সংগ্রহ করেছি। সমস্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখে একটি তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করে প্রশাসনকে দেওয়া হবে"।