Navdeep Singh, NEET Topper 2017: ২০১৭ সালে নিট (NEET)-এ শীর্ষ স্থান পাওয়া মুক্তসরের বাসিন্দার আত্মহত্যা গোটা পঞ্জাবকে হতবাক করেছে। কারণ তাঁর দ্বারা, 'তরুণরা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।' ডা. নবদীপ সিং ২০১৭ সালে নিট (NEET)-এ শীর্ষস্থান অধিকার করেছিলেন। তিনি দিল্লির মওলানা আজাদ মেডিকেল কলেজে পড়তে ভর্তি হয়েছিলেন। ডা. নবদীপ সিং-এর মৃত্যুর খবরে পঞ্জাবের মুক্তসার জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ডা. সিং, দিল্লির মওলানা আজাদ মেডিকেল কলেজের (এমএএমসি) দ্বিতীয় বর্ষের এমডি ছাত্র ছিলেন। রবিবার সকালে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বছর ২৫-এর ড. সিং, ২০১৭ সালে জাতীয় যোগ্যতা-কাম-প্রবেশ পরীক্ষায় (NEET) শীর্ষে ছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় পোস্টমর্টেম করার পরে পরিবারের কাছে তাঁর দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে মুক্তসারে তাঁকে দাহ করা হবে। দিল্লি পুলিশের অফিসার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, 'উনি যখন ফোন ধরছিলেন না, তখন ওঁর বাবা ব্যাপারটা দেখার জন্য একজন সহপাঠীকে অনুরোধ করেছিল। বন্ধুটি দেখতে পায়, তাঁর হস্টেলের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তদন্ত চলছে। তবে, কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।'
ডা. নবদীপ সিংয়ের বাবা গোপাল সিং, মুক্তসার জেলার সরাইনাগা গ্রামের সরকারি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের অধ্যক্ষ। তিনি এর আগে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছিলেন, 'আমি একজন পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। সম্ভবত এই কারণেই আমার ছেলের বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। ও চেয়েছিল ডাক্তার হতে।' তামকোট গ্রামের গভর্নমেন্ট সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের অধ্যক্ষ কপিল শর্মা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'যখন নবদীপ সিং পরীক্ষায় সেরা হন, তখন লোকেরা মুক্তসার সম্পর্কে জানতে পারে। এখানকার বহু তরুণ তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল। তাঁকে সম্মান জানাতে জেলায় অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা সত্যিই এই মৃত্যুর খবর শুনে হতবাক।' ডা. নবদীপ সিংয়ের ছোট ভাইও চণ্ডীগড়ের একটি মেডিকেল কলেজে পড়ছেন।
আরও পড়ুন- বদলে গিয়েছেন মোদী? সংসদে চার কমিটির নেতৃত্বে কংগ্রেস
ডা. সিংয়ের বাবার এক পারিবারিক বন্ধু বলেছেন, 'শনিবার সন্ধ্যায় গোপাল নবদীপের সঙ্গে যখন কথা বলেছিল তখনও ও পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিল। ও এমন কিছু ইঙ্গিত করেনি যে বোঝা যাবে মানসিক চাপে ছিল। ও তো বাবা-মায়ের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করত। তারপরও কীভাবে এমন চরম পদক্ষেপ নিল, আমরা বুঝতে পারছি না। গোটা ব্যাপারটায় আমরা রীতিমতো অবাক।'