ভগবান শ্রীকৃষ্ণের তরফে এবার কৃষ্ণ জন্মভূমির জমির দাবি তুলে মামলা দায়ের হল মথুরা আদালতে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। শাহী ইদগা মসজিদ সরিয়ে প্রায় ১৪ একর জমিতে কৃষ্ণ জন্মভূমির দাবি উঠছে। মসজিদের পাশেই রয়েছে কৃষ্ণ মন্দির কমপ্লেক্স। কিন্তু পুরো জমিই কৃষ্ণ জন্মভূমি বলে দাবি তোলা হয়েছে মামলায়। একইভাবে ১৯৮৯ সালে অযোধ্যায় বিতর্কিত জমির দাবিতে রামলালার তরফে মামলা দায়ের হয়েছিল।
শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের হয়ে মামলাকারী হলেন রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী-সহ শ্রীকৃষ্ণের ছয় ভক্ত এবং আইনজীবী হরিশঙ্কর ও বিষ্ণু জৈন। এই মামলা করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও শাহী ইদগা মসজিদের ট্রাস্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, যেহেতু মামলাকারী নাবালক, তাই সেবায়েতদের মাধ্যমে নিজের সম্পত্তির দাবিতে মামলা করেছেন শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান। নিজের সম্পত্তি রক্ষা ও পুনুরুদ্ধারের সবরকম অধিকার রয়েছে মামলাকারীর। সেবায়েত বা তাঁদের অবর্তমানে বন্ধুবর্গেরর মাধ্যমে মামলা প্রক্রিয়া চলবে।
আরও পড়ুন জঙ্গি সন্দেহে এনকাউন্টারে শ্রমিক খুন! নিশ্চিত করল DNA পরীক্ষা
মামলায় অভিযোগ, মসজিদ ট্রাস্ট কিছু মুসলিমদের সহযোগিতায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান ট্রাস্টের অন্তর্গত কাটরা কেশব দেবের সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ বা দখলদারি করা হয়েছে। এই জমি দখল করার কোনও অধিকার মসজিদ ট্রাস্টের নেই। ১৯৬৮ সালের ১২ অক্টোবর মসজিদ ট্রাস্টের লোকজন শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংঘের মদতে এই জমি দখল করেছে। ভক্ত এবং বিগ্রহের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করা হয়েছে। হাজার বছরের হিন্দু আইন অনুযায়ী, বিগ্রহের সম্পত্তিতে কেউ দখলদারি করতে পারে না। কোনও স্থাপত্য নষ্ট করাও যাবে না। এবং যে কোনও মুহূর্তে সেই সম্পত্তি পুনরুদ্ধার যোগ্য।
মামলাও আরও উল্লেখ, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে উত্তর ভারতে বহু হিন্দু ধর্মীয় স্থান ধ্বংস করা হয়েছে। কাটরা কেশব দেবে স্থিত শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরও ১৬৬৯-৭০ সালের মধ্যে মুঘল সেনা আংশিক ধ্বংস করে। এবং বলপূর্বক সেখানে শাহী ইদগা মসজিদ নির্মাণ করে। বস্তুত, এই মামলার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মথুরায়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং সাধু-সন্তরা কিছুদিন আগেই অযোধ্যার মথো কাশী-মথুরা পুনরুদ্ধার করার ডাক দিয়েছিলেন। তারই জেরে এই মামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন