লকডাউনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আটকে বহু মানুষ। রেলের তরফে চালানো স্পেশাল ট্রেনও যথেষ্ট নয়। এদিকে পূর্ব নির্ধারিত বিমানের টিকিটও সব শেষ। নিজ নিজ রাজ্যে ফিরতে বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। এই পরিস্থিতিতে আগামী দশদিন তালিকা বহির্ভূত বিমান চালাতে এয়ার ইন্ডিয়াকে অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে এর আগে বিমানের মাঝের আসনটি ফাঁকা রাখা হলেও, এই ১০ দিন সম্পূর্ণ যাত্রীবোঝাই করেই উড়বে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান।
অসামরিক বিমান পরিবহন প্রদত্ত একটি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বোম্বে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্র এবং এয়ার ইন্ডিয়া যে আবেদন জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে সেই শুনানিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। আজ ঈদের ছুটির মধ্যেই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই জরুরীকালীন শুনানি করেন প্রধানবিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: অন্তর্দেশীয় উড়ানের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ ১১ রাজ্যে
বম্বে হাইকোর্টকে ডিজিসিএ-এর বিজ্ঞপ্তিটিকে দ্রুততার সঙ্গে দেখার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়াও বিমান পরিবহনের সময় সুরক্ষা ব্যবস্থার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বম্বে হাইকোর্টের তরফে তা মেনে চলার কথাও বলেন। কেন্দ্রের তরফে থাকা সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে এদিন প্রধানবিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয় যে, "আপনাদের উচিত দেশের নাগরিকদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তা করা, কমার্শিয়াল উড়ানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হবে না।" উল্লেখ্য, এদিনে বেঞ্চে প্রধানবিচারপতি এস এ বোবদে ছাড়াও ছিলেন এএস বোপান্না এবং হৃষিকেশ রায়।
প্রসঙ্গত ২৩ মার্চ ডিজিসিএ-এর তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় যেখানে সামাজিক দূরত্ব মানার জন্য বিমানের মাঝের আসনটি ফাঁকা রাখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই নিয়ম না মানা হলে এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানায় এয়ার ইন্ডিয়ার এক পাইলট। বন্দে ভারত মিশনের আওতায় বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরানোর সময় সামাজিক দূরত্ব রাখতে হবে বিমানে এই আর্জি নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্তও হন ওই পাইলট।
কেন ডিজিসিএ-এর নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এয়ার ইন্ডিয়া সেই মর্মে তাঁদেরকে জবাবদিহিও করতে বলা হয় আদালতের তরফে। মামলার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে এরপরই এই নির্দেশ জারি করে দেশের শীর্ষ আদালত।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন