সংখ্যালঘু কে? তিনমাসের মধ্যে সংজ্ঞা স্থির করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ সোমবার আবেদনকারী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়কে তাঁর বক্তব্য সংখ্যালঘু প্যানেলের কাছে জানাতে বলেছে। সোমবার থেকে তিন মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্যানেলকে।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ সোমবার আবেদনকারী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়কে তাঁর বক্তব্য সংখ্যালঘু প্যানেলের কাছে জানাতে বলেছে। সোমবার থেকে তিন মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্যানেলকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
supreme court, সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট, ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সংখ্যালঘু কাকে বলে- সংজ্ঞায়িত করুন। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনকে সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে সংখ্যালঘু কারা তা স্থির করতে হবে কমিশনকে এবং রাজ্য স্তরে সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করার জন্য গাইডলাইন স্থির করতে হবে।

Advertisment

আরও পড়ুন, রাম মন্দিরে দেরি কেন? শিব সেনার নিশানায় ভিএইচপি-আরএসএস-কেন্দ্র

২০১৭ সালে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায় সাত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে সংখ্যালঘু হিন্দুদের  অবস্থা জানতে চেয়ে শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হন। এই সাত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে হিন্দুদের সংখ্যা কমে গিয়েছিল।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ সোমবার আবেদনকারী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়কে তাঁর বক্তব্য সংখ্যালঘু প্যানেলের কাছে জানাতে বলেছে। সোমবার থেকে তিন মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্যানেলকে। আবেদনে দাবি করা হয়েছিল, সংখ্যালঘু কমিশন অশ্বিনীর বক্তব্যের জবাব দেয়নি। একই সঙ্গে আবেদনে বলা হয়েছিল, সংখ্যালঘু টার্মটিকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার দরকার হয়ে পড়েছে এবং গোটা বিষয়টিকে সারা দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিবেচনা না করে, রাজ্যওয়ারি সম্প্রদায়গত জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিচার করা প্রয়োজন।

Advertisment

অশ্বিনী উপাধ্যায়ের মতে, জাতীয় সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে হিন্দুরা সংখ্যাগুরু হলেও, উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যে এবং জম্মু-কাশ্মীরে তাার সংখ্যালঘু। অথচ এই রাজ্যগুলিতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা পায় না।

আবেদনকারী নিজেই রিট পিটিশন প্রত্যাহার করে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে আবেদন করেন। তা মেনে নিয়ে শীর্ষ আদালত অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের ২০১৭ সালের জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছে।

supreme court