এবার যৌনকর্মীরাও আধার কার্ড পাবেন। আর, পাঁচ জনের মত তাঁরাও সাধারণ নাগরিক। সেই কারণে সাংবিধানিক অধিকার তাঁদেরও রয়েছে। সেই অধিকার থেকে যৌনকর্মীরা আধার কার্ড পাওয়ার যোগ্য। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের এক বেঞ্চ নির্দেশনামায় একথা জানিয়েছে। একইসঙ্গে যৌনকর্মীদের গোপনীয়তা যাতে ভঙ্গ না-হয়, তাঁদের পেশাগত পরিচয় যাতে প্রকাশ্যে না-আসে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
এই বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি এএস বোপান্না। নির্দেশে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, 'ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI)-এর জারি করা শংসাপত্রের ভিত্তিতে এবং ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (NACO) বা রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির প্রকল্প পরিচালকের দেওয়া শংসাপত্রের ভিত্তিতেই যৌনকর্মীদের আধার কার্ডগুলো দেওয়া হবে।' UIDAI এর আগে শীর্ষ আদালতকে পরামর্শ দিয়েছিল যে, 'পরিচয়ের প্রমাণের ওপর জোর না-দিয়ে যৌনকর্মীদের আধার কার্ড জারি করা যেতে পারে। NACO-এর গেজেটেড অফিসার বা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের গেজেটেড অফিসারের জারি করা শংসাপত্রের ভিত্তিতে যৌনকর্মীদের দেওয়া যেতে পারে আধার কার্ড।'
আরও পড়ুন- সংকটে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব, ক্ষতির ভয়ে পাঁচ দিন বন্ধ তাঁর সমাধিস্থল
এর আগে শীর্ষ আদালত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে যৌনকর্মীদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যে যৌনকর্মীদের কোনও পরিচয়ের প্রমাণ নেই এবং যাঁরা রেশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত, তাঁদের আলাদা করে চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিল। এক্ষেত্রে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছিল, যৌনকর্মীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলো যৌনকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠনের সাহায্য নিতে পারবে। শুধুমাত্র NACO-র তৈরি তালিকার ওপর নির্ভর করতে পারবে না। রেশন কার্ড ছাড়াও, চিহ্নিত যৌনকর্মীদের ভোটার কার্ডও ইস্যু করতে হবে বলেই জানিয়েছিল আদালত।
কোভিড পরিস্থিতিতে যৌনকর্মীরা অত্যন্ত সংকটে কাটিয়েছেন। সেই নিয়ে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জমা পড়ে। তার প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর অন্যান্যদের পাশাপাশি যৌনকর্মীদেরও রেশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এক্ষেত্রে পরিচয় প্রমাণের জন্য যৌনকর্মীদের ওপর জোরাজুরি করা যাবে না-বলেও বিচারপতিরা জানিয়ে দিয়েছিলেন।
Read full story in English