শবরীমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল আগেই। মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ জানাল, রায় পুনর্বিবেচনার পরবর্তী শুনানি আগামী ২২ জানুয়ারি। আপাতত বহাল থাকছে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য যে ৪৯টি আবেদন জমা পড়েছিল, আগামী ২২ জানুয়ারি প্রত্যেকটির শুনানি হবে জনসমক্ষে, খোলাখুলি।
#SabarimalaTemple Case: Supreme Court orders open court hearing in all the 49 review petitions.
— ANI (@ANI) November 13, 2018
শবরীমালা মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে বৈঠক করবে।
আগামী সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে দু'মাস ব্যাপী 'মন্ডলম মকরাভিলাক্কু' তীর্থ। পুন্য লাভের আশায় ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে প্রায় ৫৫০ জন মহিলা ইতিমধ্যে কেরালা পুলিশের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছে।
রায় পুনর্বিবেচনা প্রসঙ্গে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন আদালতে বললেন, শবরীমালা একটি ধর্ম নিরপেক্ষ উপাসনালয়। অহিন্দু এবং মূর্তি পূজায় অবিশ্বাসী মানুষের এখানে আসায় কোনও বাধা নেই। কেরালার শাসকদল রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শবরীমালা নিয়ে আলোচনায় বসতে চায়, জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেরালার বিজেপির রাজ্য সম্পাদক পিএস শ্রীধরণ পিল্লাই জানিয়েছেন উদ্দেশ্য সৎ হলে আলোচনায় বসতে আপত্তি নেই।
আরও পড়ুন, শবরীমালা রায়ের প্রতিবাদে বিজেপি মুখপাত্রের সভায় ব্যবহৃত হলো পুলিশি অত্যাচারের সাজানো ছবি
শবরীমালায় সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশানুমতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল। মোট ৪৯টি আবেদনের শুনানি হল মঙ্গলবার। সুপ্রিম রায় পুনর্বিবেচনার মামলার শুনানির জন্য আগে থেকেই দিন ধার্য করা হয়েছিল আজকের দিনটি। তার আগে যে জরুরি ভিত্তিতে এ মামলার শুনানি করা হবে না, ৩১ অক্টোবর সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতের তরফে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি নিয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ রায় দেয়, কেরালার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন সব বয়সের মহিলারা। ঐতিহাসিক এই রায় নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল রায়ের পর থেকেই। আয়াপ্পা ডিভোটিজ অ্যাসোসিয়েশন-এর পাশাপাশি নাইয়ার সোসাইটি এবং দিল্লির চেতনা কনশিয়েন্স অব উইমেন-এর পক্ষ থেকেও রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। তাদের মতে, শীর্ষ আদালতের রায় “অসমর্থনযোগ্য এবং বিরক্তিকর”।
Read the full story in English