তামিল নাড়ুতে নীলগিরি পার্বত্য এলাকায় হাতি করিডরের সুরক্ষার স্বার্থ এবার দৃষ্টি আকর্ষণ করল সুপ্রিম কোর্টের। তামিল নাড়ুর ওই এলাকায় হাতি করিডরে বেআইনিভাবে রিসর্ট নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যে অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ আদালতের কোপে পড়েছে ওই এলাকার রিসর্টগুলির ওপর। বৃহস্পতিবার ২৭টি রিসর্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে। পাশাপাশি আরও ১২টি রিসর্টকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে বৈধ নথি না দেখাতে পারলে রিসর্টগুলি সিল করা হবে বলে নির্দেশ এসেছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে।
ওই এলাকার হাতি করিডর নিয়ে এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি মদন বি লোকুর, এস আব্দুল নাজির ও দীপক গুপ্তার বেঞ্চ। নীলগিরি জেলাশাসকের ‘প্ল্যান অফ অ্যাকশন রিপোর্ট’ এদিন নজরে আনে বিচারপতিদের বেঞ্চ।
আরও পড়ুন, তেজি বাজার, তবু পশু রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল জাহাজ মন্ত্রক
রিসর্টগুলির সংলগ্ন রেস্তোরাঁ থাকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জেলাশাসকের রিপোর্টে ৩৯টি রিসর্টের কথা বলা রয়েছে, যেখানে রেস্তোরাঁ আছে। অন্যদিকে, ১২টি রিসর্টের আইনজীবীরা আদালতে হাজির থাকলেও বাকি ২৭টি রিসর্টের কোনও আইনজীবী এদিন আদালতমুখো হননি।
কোনওরকম অনুমোদন ছাড়াই রিসর্টগুলি রেস্তোরাঁ চালাচ্ছিল বলে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে জেলাশাসকের রিপোর্টও যে আদালতে গৃহীত হয়েছে তা বলা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই রিসর্টগুলি সিল করতে জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে। অন্যদিকে বাকি ১২টি রিসর্টকে অনুমোদনের বৈধ নথি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা না হলে সংশ্লিষ্ট রিসর্ট সিল করে দেওয়া হবে।
এদিনের শুনানিতে আদালতের তরফে জানানো হয় যে, এটা দুঃখজনক যে, মানুষ-পশু সংঘাত ও জন্তুদের মৃত্যুর হার নিয়ে কেন্দ্রকে কোনও তথ্য দেয়নি বেশ কিছু রাজ্য। হাতিদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য করিডর গড়ে একটা প্যানেল তৈরি করেছিল কেন্দ্র। ২২টি রাজ্যে ২৭টি বিপজ্জনক জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও কয়েকটি রাজ্য এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। আগামী ২৪ অক্টোবর এ নিয়ে ফের শুনানি আদালতে।