কাঠগড়ায় কেন্দ্র, ‘কোনও দেশই নাগরিককে গ্যাস চেম্বারে পাঠিয়ে মৃত্যুর মুখে ফেলে না’

‘‘কোনও দেশই নাগরিককে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে মৃত্যুর মুখে ফেলে দেয় না। ম্যানহোল সাফাই করতে গিয়ে প্রতি মাসে ৪-৫ জনের মৃত্যু হয়’’।

‘‘কোনও দেশই নাগরিককে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে মৃত্যুর মুখে ফেলে দেয় না। ম্যানহোল সাফাই করতে গিয়ে প্রতি মাসে ৪-৫ জনের মৃত্যু হয়’’।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
manual scavenging, ম্যানহোল সাফাই, ম্যানহোল সাফাইকর্মী, সাফাই কর্মী, supreme court on manual scavenging, সুপ্রিম কোর্ট, protective gear for scavengers, indian express bangla, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা

‘‘ম্যানহোল সাফাই করতে গিয়ে প্রতি মাসে ৪-৫ জনের মৃত্যু হয়’’। প্রতীকী ছবি।

ম্যানহোল সাফাই করতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবার কেন্দ্রকে দুষল সুপ্রিম কোর্ট। ম্যানহোল সাফাই কর্মীদের কাজের জন্য কেন বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় না, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলল দেশের শীর্ষ আদালত। এ প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বাধীনতার ৭০ বছর পার হয়ে গেল, অথচ দেশে জাতি বৈষম্য দূর হল না। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।

Advertisment

আরও পড়ুন: ১৮ অক্টোবরের মধ্যে নিস্পত্তি করতে হবে অযোধ্যা মামলা: সুপ্রিম কোর্ট

এ প্রসঙ্গে বুধবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলেন, ‘‘কোনও দেশই নাগরিককে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে মৃত্যুর মুখে ফেলে দেয় না। ম্যানহোল সাফাই করতে গিয়ে প্রতি মাসে ৪-৫ জনের মৃত্যু হয়’’। কেন্দ্রের একটি আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘সকল মনুষ্যজাতিই এক। কিন্তু সকলে একইরকম সুবিধা পান না’’। এরপরই অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালকে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ম্যানহোল যাঁরা সাফাই করেন, তাঁদের কেন মাস্ক ও অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয় না?

আরও পড়ুন: প্লাস্টিক আর নয়, হোটেলে এবার জল মিলবে কাঁচের বোতলে

Advertisment

বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, ‘‘আপনাদের জিজ্ঞেস করছি, আপনারা কি ওঁদের (ম্যানহোল সাফাইকর্মী) সঙ্গে হাত মেলান? উত্তরটা না। এ কারণেই এমনটা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি বদলানো দরকার। স্বাধীনতার ৭০ বছর পার করেছি আমরা, কিন্তু এখনও এসব হচ্ছে’’। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, ‘‘এটা অত্যন্ত অমানবিক’’।

এ ব্যাপারে আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যিনি ম্যানহোল সাফাই করছেন বা রাস্তায় ঝাড়ু দিচ্ছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করা যেতে পারে না। বরং যিনি বা যাঁরা এই কাজ করাচ্ছেন, তাঁদের অভিযুক্ত করা হোক।

Read the full story in English

national news