নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৬এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। ৬এ ধারা 'অসম আইনের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব সম্পর্কে বিশেষ বিধান'। অসমের আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ভারত সরকারের অসম চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৯৮৫ সালে ৬এ ধারা চালু হয়েছিল।
নাগরিকত্ব আইনের সেই ৬এ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনের শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ মঙ্গলবার বলেছে যে আবেদনে উত্থাপিত অন্যান্য বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে বিধানটি সাংবিধানিকভাবে বৈধ কি না, তা নিয়েই প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে মঙ্গলবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, '১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারা কোনও সাংবিধানিক দুর্বলতায় ভুগছে কি না, সাংবিধানিক বেঞ্চ প্রাথমিকভাবে সেটাই নির্ধারণ করবে।'
বিচারপতি এমআর শাহ, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি, বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি পিএস নরসিমহাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, শিবসেনার বিভাজন এবং মহারাষ্ট্রের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আবেদনের শুনানি শেষ হলে ৬এ ধারার মামলাটি শুনানির জন্য সাংবিধানিক বেঞ্চ গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যেই ঠিক হয়েছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মহারাষ্ট্র মামলার শুনানি শুরু হবে।
ধারা ৬এ 'অসম আইনের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব সম্পর্কে বিশেষ বিধান'। এতে বলা হয়েছে যে যাঁরা ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল-সহ নানা জায়গা থেকে অসমে এসেছিলেন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে, তাঁদের নাগরিকত্বের জন্য ১৮ নম্বর ধারার অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। ১৯৮৫ সালে এই আইনটাই অসমের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
আরও পড়ুন- দেশের বিভিন্ন অংশ ঠান্ডায় কাঁপছে, কাকে বলে শৈত্যপ্রবাহ?
ভারত সরকারের সঙ্গে অসমের আন্দোলনকারীদের চুক্তির ভিত্তিতে এই আইন কার্যকরী হয়। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে অসম চুক্তি কেন্দ্রীয় সরকার, অসম রাজ্য এবং অসমের ছাত্রদের মধ্যে একটি সমঝোতার প্রতীক। এই চুক্তির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার এবং অল অসম গণসংগ্রাম পরিষদ এক দীর্ঘ অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান করতে পেরেছে। এই চুক্তি বাতিল হলে, তার পরিণতি হবে ব্যাপক।
Read full story in English