কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্টে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ অবস্থান নিয়ে এমনিতেই বিরক্ত শীর্ষ আদালত। তার উপর শুক্রবার কৃষকদের আবদার শুনে আরও বিরক্তি প্রকাশ করল আদালত। কৃষকদের একটি সংগঠন দিল্লির যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ অবস্থানে বসার অনুমতি চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের কাছে। তাতে আদালতের পাল্টা প্রশ্ন, "যদি রাস্তা-জাতীয় সড়ক আটকে আন্দোলন চলতে থাকে তাহলে আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া কেন?"
সুপ্রিম কোর্ট এদিন ভর্ৎসনার সুরে কৃষকদের বলেছে, "গোটা শহরের দমবন্ধ করে দেওয়ার পর এখন শহরের ভিতরে আসতে চাইছেন! আপনারা সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা কর্মীদের বাধা দিচ্ছেন। এটা মিডিয়াতেও এসেছে। এসব বন্ধ করতে হবে। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পর আদালতের কাছে আবেদন করার কোনও মানে হয় না।" এদিন কৃষকদের ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি এ এম খানউইলকর।
আদালতের এই ভর্ৎসনায় মুখ পুড়েছে কিষাণ মহাপঞ্চায়েত সংগঠকদের। আদালত তাঁদের বলেছে, "যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের সিস্টেমের উপর আস্থা রাখা উচিত। সত্যাগ্রহ করার মানেটা কী? আপনারা কোর্টে এসেছেন। তাহলে আদালতে ভরসা রাখুন। একবার যখন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাহলে আবার আন্দোলন করার মানে কী! আপনার কি বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন? সিস্টেমের উপর ভরসা রাখুন।"
আরও পড়ুন রাস্তা আটকে কীসের আন্দোলন? দিল্লি সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট
বস্তুত, কিষাণ মহাপঞ্চায়েত করার জন্য কৃষকরা যন্তরমন্তর ব্যবহার করার অনুমতি চান। আইনজীবী অজয় চৌধুরি আবেদনকারীদের পক্ষে আদালতে জানান, এটা সড়ক-জাতীয় সড়ক অবরোধ করার কোনও বিষয় নয়। বরং পুলিশ রাস্তা আটকাচ্ছে, কৃষকরা নন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন