Advertisment

সুরাতে কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নয়া মোড়

সুরাতে ১১ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এবার নয়া মোড়। এবার নির্যাতিতা কিশোরীর মাকেও খুন করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
surat, rape

সুরাতের এই জায়গাতেই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সুরাতে ১১ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এবার নয়া মোড়। এবার নির্যাতিতা কিশোরীর মাকেও খুন করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযুক্তই তার মায়েরও খুনি বলে জানিয়েছে গুজরাত পুলিশ। চলতি মাসের ৯ তারিখে সুরাতে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। ওই দেহটি যে নির্যাতিত কিশোরীর মায়ের, তা ডিএনএ পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হয় পুলিশ। গত ২৬ মার্চ সম্ভবত কিশোরীর মাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৭ বছর বয়সী হর্ষ সাহে গুজ্জরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে ঠিকাদারি শ্রমিক গুজ্জর। এ ঘটনায় গুজ্জরের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। কাঠুয়া ও উন্নাও পরবর্তী সুরাতের এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে।

Advertisment

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর মাকে ৩৫ হাজার টাকার বিনিময়ে রাজস্থান থেকে কিনে এনেছিল গুজ্জর। এরপর ঠিকাদার শ্রমিকের কাজ দেওয়ার নাম করে ওই মহিলাকে সুরাতে নিয়ে আসেন তিনি। কিশোরীর মায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও ছিল। জানা গেছে, কিশোরীর মা তাঁদের সঙ্গে গুজ্জরকে থাকার জন্য জোর করতেন বলেই গুজ্জর দুজনকেই খুন করে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৭ বছর ধরে গুজ্জর সুরাতেই থাকেন।

আরও পড়ুন, যৌন নির্যাতনে ফের নাম জুড়ল বিজেপির, আবারও শিশুকে যৌন হেনস্থা!

গুজ্জরের পাশাপাশি, এ ঘটনায় পুলিশের নজরে রয়েছে তাঁর এক আত্মীয়ও। ঘটনাস্থলে গুজ্জরের ওই আত্মীয়ও উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্র মারফৎ জানতে পেরেছে পুলিশ। এছাড়াও গুজ্জরকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে আরও দু’জনের বিরুদ্ধে। কুলদীপ গুজ্জর ও মুকেশ গুজ্জর নামের এই দুই ব্যক্তির খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন, আবারও ধর্ষণ! উত্তরপ্রদেশে একদিনে ৪টি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

গত ৬ এপ্রিল ১১ বছরের একটি কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কিশোরীটিকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।  গত শুক্রবার এ ঘটনায় রাজস্থান থেকে গুজ্জরকে গ্রেফতার করে আহমেদাবাদের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

আরও পড়ুন, অর্ডিন্যান্সে সম্মতি রাষ্ট্রপতির

সুরাত পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, গত ২৬ মার্চ কিশোরীর মাকে খুন করা হয়। সেসময় কিশোরীটি গুজ্জরের বাড়িতে ছিল। এরপর মায়ের খোঁজ করতে থাকায়, কিশোরীকেও হত্যা করা হয়। অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। তিনি আরও বলেন, তাদের সঙ্গে থাকবার জন্য গুজ্জরকে চাপ দিতেন কিশোরীর মা। সেকারণেই তাদের দুজনকেই অভিযুক্ত হত্যা করেছে।

surat national news
Advertisment