/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/08/Rhea-Chakraborty-threat-case-759.jpg)
রিয়া চক্রবর্তী
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলা বিহার থেকে মুম্বইতে স্থানান্তরের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। আগামী বুধবার ৫ অগাস্ট সেই আবেদনের শুনানি হবে সর্বোচ্চ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট অনুসারে অভিনেত্রীর আবেদনের শুননাবি হবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে।
গত ১৪ই জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ উদ্ধার হয়। তদন্ত শুরু করে মুম্বই পুলিশ। নাম জড়ায় অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর। এছাড়াও সুশান্তের মৃত্যু ঘিরে নানান রহস্য ঘণীভূত হতে থাকে।
তদন্ত মামলা স্থানান্তর সংক্রান্ত রিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে বিহার ও মহারাষ্ট্র সরকার। ফলে অভিনেত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত কোনও নির্দেশ দিলেএই দুই রাজ্য সরকারকে জানতে পারবে। এছাড়াও মৃত সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কৃষ্ণ কিশোর সিংও সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন।
গত ২৫ জুলাই পাটনার রাজীবনগর থানায় অভিনেত্রী রিয়া সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা। ছেলের মৃত্যুর জন্য ওই ৬ জনকে দায়ী কৃষ্ণ কিশোর সিং। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৩৪১ , ৩৪২ (জোর করে আটকে রাখা), ৩৮০ (চুরি) ৪০৬ ও ৪২০ (চুক্তিভঙ্গ) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মামলা স্থানান্তরের আবেদনে রিয়া চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন সুশান্তের পরিবারের বিরুদ্ধে। আবেদনে উল্লেখ, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে রিয়া চক্রবর্তীকে ফাঁসিয়ে দেওয়ায় চেষ্টা করছে প্রয়াত অভিনেতার পরিবার। সেই কারণেই পাটনায় রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। সুশান্তের সঙ্গে সে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিল বলেও বলা হয়েছে। সুশান্তের মৃত্যুতে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন বলে দাবি করেচেন রিয়া।
আবেদনে রিয়া চক্রবর্তী জানিয়েচেন যে, বিগত কিছু সময় ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সুশান্ত। সেই কারণেই হয়তো অভিনেতা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
এদিকে রিয়ার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সুশান্তের বাবার অভিযোগের পর শুক্রবার সরাসরি ভিডিয়ো বার্তা দেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, “বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। সত্যিটা অবশ্যই সামনে আসবে”।
Read in English
Read the full story in English