সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুষমার মৃত্যুতে শোকাহত রাহুল গান্ধীও। টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন রাগা। সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা লিখেছেন, "গভীরভাবে শোকাহত। আমি ওঁকে ১৯৯০ সাল থেকে চিনি। অসাধারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। খুব ভাল মানুষ ছিলেন"। শোক প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি-সহ আরও অনেকে।
কাশ্মীরে গতকাল ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইটে সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরের সক্রিয় সুষমা লেখেন, "এই দিনটি জীবদ্দশায় দেখতে পাওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদীজিকে ধন্যবাদ।” কে ভেবেছিল, জীবদ্দশায় ওটাই সুষমা স্বরাজের শেষ টুইট হতে চলেছে?
সুষমা স্বরাজের জীবনাবসান: মৃত্যুকালে সুষমা রেখে গেলেন স্বামী স্বরাজ কৌশল এবং একমাত্র কন্যাকে। বর্ণময় রাজনৈতিক জীবন ছিল সুষমার। ১৯৫২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে হরিয়ানা মন্ত্রিসভায় জায়গা পান কণিষ্ঠতমা সদস্যা হিসাবে। এরপর শুধুই উত্থানের কাহিনি। সাতবার লাগাতার নির্বাচিত হয়েছিলেন লোকসভার সাংসদ হিসেবে। বিগত লোকসভা নির্বাচনে নিজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাননি। ২০১৪-১৯, মোদী-জমানার প্রথম পর্বে সুষমা ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধীর পর তিনিই দ্বিতীয় মহিলা, যিনি দেশের বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
প্রথম মোদী সরকারে বিদেশমন্ত্রী হিসেবে প্রশ্নাতীত জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছিলেন সুষমা। বাজপেয়ী জমানাতেও মন্ত্রীত্ব সামলেছিলেন এই বিজেপি নেত্রী। উল্লেখ্য, শারীরিক অসুস্থতার জন্য দ্বিতীয় মোদী সরকারে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি নেন সুষমা। এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে।
মায়ের শেষকৃত্যে সুষমা স্বরাজের কন্যা বাঁশুরি স্বরাজ।
লোধি শ্মশানে আনা হল সুষমা স্বরাজের মরদেহ। একটু পরেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
১ টাকা দিতে চেয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু তাঁর থেকে সেই ১ টাকা আর নেওয়া হল না। আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে কুলভূষণ যাদব মামলায় বড়সড় সাফল্য পেয়েছে ভারত সরকার। কুলভূষণ যাদব মামলায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন আইনজীবী হরিশ সালভে। তার পারিশ্রমিক হিসেবেই হরিশ সালভেকে ১ টাকা দিতে চেয়েছিলেন সুষমা স্বরাজ। মঙ্গলবার তাঁর থেকে ১ টাকা নেওয়ার জন্য হরিশ সালভেকে জানিয়েছিলেন সুষমা। আর তারপরই সব ওলটপালট হয়ে গেল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দেশের প্রথম পূর্ণ সময়ের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে সুষমা মৃত্যুর কয়েকঘণ্টা আগে ১ টাকা পারিশ্রমিক দিতে চেয়েছিলেন সালভেকে
বিকেল ৪টে নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে সুষমা স্বরাজের। গতকাল রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সুষমার। আজ সকাল থেকেই দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি-সহ বিভিন্ন মন্ত্রী ও নেতারা।
সুষমা স্বরাজকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
শেষযাত্রায় সুষমা স্বরাজ, বিজেপি দফতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর মরদেহ।
সুষমা স্বরাজকে শ্রদ্ধা জানালেন গীতা ২০১৫ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন গীতা। এজন্য অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
আগেই জানিয়েছিলেন, সুষমা স্বরাজের মৃত্যু তাঁর কাছে ‘ব্যক্তিগত ক্ষতি’। বুধবার দিল্লিতে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুষমা স্বরাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এদিন সকালে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর বাসভবনে যান মোদী। সুষমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। উল্লেখ্য এর আগে টুইট করে মোদী লিখেছিলেন, ‘‘সুষমাজির মৃত্যু ব্যক্তিগত ক্ষতি। দেশের জন্য যা করেছেন উনি, সেজন্য ওঁকে কেউ কখনও ভুলবেন না। যেভাবে গত ৫ বছরে বিদেশমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন তা অভাবনীয়’’।
সুষমা স্বরাজকে শেষশ্রদ্ধা জানালেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা।
সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করল দিল্লি সরকার। ১৯৯৮ সালে কিছু সময়ের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুষমা স্বরাজ। বুধবার সুষমা স্বরাজের বাসভবনে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া।
সুষমা স্বরাজকে শেষশ্রদ্ধা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
জনতা পার্টির হাত ধরে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সুষমা স্বরাজ। ১৯৭৭ সালে হরিয়ানায় নির্বাচিত হন সুষমা। মাত্র ২৫ বছর বয়সে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ১৯৮৭ সালে ফের নির্বাচিত হয়েছিলেন স্বরাজ। লোকসভায় তাঁর সুদক্ষ ভাষণের জন্য সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন সুষমা। ১৯৯৬ সালে আস্থা ভোটের সময় সুষমার জাতীয় রাজনীতিতে উপস্থিতি নজর কেড়েছিল। ১৯৯৬ সালে ১৩ দিনের বাজপেয়ী সরকারের অন্যতম সদস্য ছিলেন সুষমা। মহিলা রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি আইকনে পরিণত হয়েছিলেন। শেষমেশ দীর্ঘ রাজনৈতিক ইনিংসের পর দ্বিতীয় মোদী সরকারে মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যাহতি নেন সুষমা। উনিশের নির্বাচনেও লড়েননি তিনি। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে চিরনিদ্রায় ভারতের ‘প্রিয় বিদেশমন্ত্রী’ সুষমা স্বরাজ
সুষমা স্বরাজকে শেষশ্রদ্ধা জানালেন বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি।
সুষমা স্বরাজকে শেষশ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রাক্তন বিদশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে শেষশ্রদ্ধা জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া।
সুষমা স্বরাজকে শেষশ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
সুষমা স্বরাজকে শেষশ্রদ্ধা জানালেন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী হেমামালিনী।
আজ দিল্লিতে সুষমা স্বরাজের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সকাল ১১টা পর্যন্ত নিজের বাসভবনে সুষমা স্বরাজের দেহ রাখা থাকবে। যেখানে শ্রদ্ধা জানানো যাবে। এরপর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। লোধি শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর।
সুষমার প্রয়াণে শোকাহত বিজেপি সাংসদ রমা দেবী।
সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন বর্তমান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘এ খবর মেনে নিতে পারছি না। গভীরভাবে শোকাহত’’।
সুষমা স্বরাজকে শেষশ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী।
সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘‘সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। দারুণ বক্তা ছিলেন’’।
সুষমা স্বরাজকে শেষশ্রদ্ধা জানালেন বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী। দিল্লিতে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর বাসভবনে এসে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মায়াবতী।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার সন্ধেয় টুইট করেছিলেন সুষমা স্বরাজ। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী লেখেন, “এই দিনটি জীবদ্দশায় দেখতে পাওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদীজিকে ধন্যবাদ’’। এরপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হন হয়ে পড়েন তিনি।
চমৎকার জননেত্রী ছিলেন সুষমা স্বরাজ, টুইট করেছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা লিখেছেন, “গভীরভাবে শোকাহত। আমি ওঁকে ১৯৯০ সাল থেকে চিনি। অসাধারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। খুব ভাল মানুষ ছিলেন”।
টুইটারে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘‘সুষমাজির প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। উনি অসামান্য রাজনৈতিক নেতা ছিলেন’’।
সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। টুইটারে মোদী লিখেছেন, ‘‘সুষমাজির মৃত্যু ব্যক্তিগত ক্ষতি। দেশের জন্য যা করেছেন উনি, সেজন্য ওঁকে কেউ কখনও ভুলবেন না। যেভাবে গত ৫ বছরে বিদেশমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন তা অভাবনীয়’’।
আজ দিল্লিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে সুষমা স্বরাজের। মঙ্গলবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর। মৃত্যুকালে সুষমার বয়স হয়েছিল ৬৭। সুষমার প্রয়াণে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে। বিদেশমন্ত্রী হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন সুষমা। টুইটারেই বহু মানুষের মুশকিল আসান করেছিলেন এই বিজেপি নেত্রী।